তথ্যপ্রযুক্তি উন্নয়নে ভারত-বাংলাদেশ যৌথভাবে কাজ করবে: ভারতীয় হাই-কমিশনার
- বাসস
- প্রকাশ: ১৯ জুন ২০১৯, ০৮:৪৩ PM , আপডেট: ১৯ জুন ২০১৯, ০৯:০৮ PM
বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই-কমিশনার রীভা গাঙ্গুলি দাশ বলেছেন, বাংলাদেশের হাই-টেক পার্কে বিনিয়োগ ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়ন ও বিকাশে ভারত-বাংলাদেশ যৌথভাবে কাজ করবে।
বুধবার বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের সভাকক্ষে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সাথে ভারতীয় হাই-কমিশনার বৈঠককালে এ কথা বলেন।
বাংলাদেশের আইটি খাতের উন্নয়নে ভারতের অংশগ্রহণের চিত্র তুলে ধরে রীভা গাঙ্গুলি বলেন, অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক আরো জোরদার হবে।
বৈঠকে ভারতীয় প্রতিনিধিদলের বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের ডেপুটি হাই-কমিশনার বিশ্বজিৎ দে, আইটি বিষয়ক দ্বিতীয় সচিব নবীন সর, ভিসা বিষয়ক দ্বিতীয় সচিব বিশাল জ্যোতি দাশ ও ভয়েন্টস সল্যুউশনস প্রাইভেট লি. এর ভাইস-প্রেসিডেন্ট সওটি আগারওয়াল উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলে ছিলেন বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বেগম ও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এ সময় তারা দুই দেশের পারস্পারিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে বিশেষ করে মানব সম্পদ উন্নয়ন, আইটি শিল্পের বিকাশ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে ভারত সরকারের অর্থায়নে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন জেলা পর্যায়ে আইটি/ হাই-টেক পার্ক স্থাপন (১২টি জেলায়) প্রকল্প, তথ্যপ্রযুক্তি খাতের চলমান অগ্রগতি, আইসিটি খাতে বিনিয়োগ সম্ভাবনা, প্রযুক্তি হস্তান্তর, স্টার্টআপ তৈরির সংস্কৃতি গড়ে তুলতে সহযোগিতা প্রদানসহ বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী গ্রামকে শহরে রুপান্তরিত করা, তারুণ্যের শক্তিকে কাজে লাগানো ও প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে দুর্নীতিমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার কাজ করছে।
ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে আইসিটি খাতে ভারত সরকারের সহযোগিতার কামনা করে তিনি বলেন, তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত ডিজিটাল সেবা পৌছে দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত বিভিন্ন কর্মসূচি, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে বাস্তবায়নাধীন ২৮টি হাই-টেক পার্ক, ইনফো সরকার ৩য় পর্যায় প্রকল্প, ডাটা সেন্টার, স্টার্টআপ প্রকল্পসহ আইসিটি সেক্টরের চলমান কার্যক্রম হাই-কমিশনারকে অবহিত করেন।