আ’লীগ নেতাকে ছাড়িয়ে নিতে থানায় জামায়াত নেতা
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে আওয়ামী লীগের এক নেতাকে আটক করে পুলিশে দিয়েছেন স্থানীয়রা। তাকে ছাড়িয়ে আনার জন্য জামায়াতে ইসলামীর এক নেতা থানায় গিয়েছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ সময় দলটির আরেক কর্মী ঘটনাটি ফেসবুকে লাইভ করেন। বিষয়টি এলাকায় আলোচনার সৃষ্টি করেছে।
আটক নেতার নাম মো. সেলিম। তিনি উপজেলা বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য। সীতাকুণ্ড পৌরসভার বাইপাস সড়কের পাশে কাতার টাওয়ারের নামে একটি বহুতল ভবনের ৮ম তালার ছাদ ঢালাই কাজ চলছিল। রোববার দুপুরে ছাদ ঢালাইয়ের অনুষ্ঠান উপলক্ষে আয়োজিত ভোজে আত্মীয়তার সুবাদে অংশ নেন সেলিম।
এরপর কয়েকটি রাজনৈতিক নেতাকর্মী তাকে আটক করে থানায় খবর দেন। পুলিশ আসতে দেখে সেলিম সরে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় পড়ে গিয়ে আহতও হন। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি তার।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সেলিমকে ছাড়িয়ে আনতে জামায়াত নেতা অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলমসহ আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতাকর্মী থানায় হাজির হন। তখন অনেকে বিষয়টি ফেসবুকে লাইভ করেন। রুবেল আনছারী নামে এক জামায়াত কর্মী তার ফেসবুক আইডি থেকে লাইভ করেন। এরপর জামায়াত ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা থানা থেকে বের হয়ে যান।
আরও পড়ুন: জামায়াত আমিরের সঙ্গে শিল্প মালিকদের সাক্ষাৎ
সীতাকুণ্ড উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর স্পেশাল ইউনিটের রুকন অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সীতাকুণ্ড পৌর সদরের পশ্চিম পাশে কাতার টাওয়ারে ছাদ ঢালাইয়ের কাজ চলছিল। টাওয়ারে চলমান কাজের ইট, বালু, সিমেন্টসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম সরবরাহ করতে চেয়েছিলেন স্থানীয় রুবেল আনসারী। তাকে এ সরঞ্জাম সরবরাহ করতে না দেওয়ায় তিনি এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। তাছাড়া সেলিমের রাজনৈতিক পরিচয় সম্পর্কে তিনি কিছু জানেন না বলে দাবি করেন।
সীতাকুণ্ড মডেল থানার ওসি মুজিবুর রহমান বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা সেলিমের উপস্থিতির খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাকে আটক করে। তিনি জুলাই আন্দোলনে ছাত্রদের প্রতিহত করতে সংঘাতে জড়িত ছিলেন। তার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। তাকে ছাড়ানোর জন্য কেউ থানায় আসেনি দাবি করে ওসি বলেন, থানার ভেতরে থেকে ফেসবুক লাইভে দেওয়া তথ্যও ঠিক নয়।