আবরার হত্যা মামলায় হাইকোর্টের রায় আজ
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৬ মার্চ ২০২৫, ০৯:৪৩ AM , আপডেট: ১৬ মার্চ ২০২৫, ১০:০০ AM

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় দণ্ডিত আসামিদের ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের রায় আজ রোববার ঘোষণা করবেন হাইকোর্ট। বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চে রায় ঘোষণার জন্য মামলাটি কার্যতালিকায় রয়েছে।
এর আগে শুনানি শেষে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. জসিম সরকার, খন্দকার বাহার রুমি, নূর মুহাম্মদ আজমী, রাসেল আহম্মেদ এবং সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল জব্বার জুয়েল, লাবনী আক্তার, তানভীর প্রধান ও সুমাইয়া বিনতে আজিজ।
আসামিপক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান, আজিজুর রহমান দুলু, মাসুদ হাসান চৌধুরী ও মোহাম্মদ শিশির মনির।
২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান এ মামলায় ২০ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। ২০২২ সালের ৬ জানুয়ারি মামলার ডেথ রেফারেন্স উচ্চ আদালতে আসে। কারাবন্দি আসামিরা জেল আপিল এবং অনেকেই ফৌজদারি আপিল করেছেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন মেহেদী হাসান রাসেল, মো. অনিক সরকার (অপু), মেহেদী হাসান রবিন (শান্ত), ইফতি মোশাররফ সকাল, মো. মনিরুজ্জামান মনির, মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, মো. মাজেদুর রহমান মাজেদ, মো. মুজাহিদুর রহমান মুজাহিদ, খন্দকার তাবাকারুল ইসলাম (তানভির), হোসেন মোহাম্মদ তোহা, মো. শামীম বিল্লাহ, মো. সাদাত এএসএম নাজমুস সাদাত, মুনতাসির আল জেমী, মো. মিজানুর রহমান মিজান, এসএম মাহমুদ সেতু, সামসুল আরেফিন রাফাত, মো. মোর্শেদ (অমর্ত্য ইসলাম), এহতেশামুল রাব্বি (তানিম) (পলাতক), মোহাম্মদ মোর্শেদ উজ্জামান মণ্ডল (জিসান) (পলাতক) ও মুজতবা রাফিদ (পলাতক)।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন অমিত সাহা, ইসতিয়াক আহমেদ মুন্না, মো. আকাশ হোসেন, মুহতাসিম ফুয়াদ, মো. মোয়াজ (মোয়াজ আবু হোরায়রা)।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আবরার ফাহাদকে তাদের কক্ষে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেন। ভারতের সঙ্গে করা ‘অসম চুক্তি’ ও ‘পানি আগ্রাসন’ নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার জেরে তাকে হত্যা করা হয়। রাত ৩টার দিকে হলের সিঁড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
ঘটনার পরদিন আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ চকবাজার থানায় মামলা করেন। তদন্ত শেষে ৩৭ দিনের মধ্যে ২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক মো. ওয়াহিদুজ্জামান আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) জমা দেন।