‘আয়নাঘর’ পরিদর্শনের সুযোগ পাবে গণমাধ্যমকর্মীরা: প্রেস সেক্রেটারি

শফিকুল আলম কথা বলেন গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে
শফিকুল আলম কথা বলেন গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে  © সংগৃহীত

আওয়ামী সরকারের আমলে টর্চার সেল হিসেবে পরিচিতি পায় আয়নাঘর। সেটিই এবার সরেজমিনে পরিদর্শনের জন্য গণমাধ্যমকে সুযোগ করে দিচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার।

আজ রবিবার (৫ জানুয়ারি) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সেক্রেটারি শফিকুল আলম এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘আয়নাঘরে’ গণমাধ্যমকর্মীদের পরিদর্শনের সুযোগ করে দেওয়া হবে। সেখানে গেলে আপনারা (গণমাধ্যমকর্মীরা) দেখতে পাবেন কীভাবে বিগত সরকার নিরীহ মানুষকে দিনের পর দিন আটকে রেখে অত্যাচার করেছে।

শফিকুল আলম বলেন, ‘বন্দিদের অনেকেই সেখানে (আয়নাঘরে) দিনের পর দিন আটকে থাকার কথা বন্দিশালায় লিখে রেখেছেন।’

বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা বাহিনীর কাউন্টার-টেরোরিজম ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো (সিটিআইবি) দ্বারা পরিচালিত একটি গোপন আটক কেন্দ্রের নাম আয়নাঘর। ধারণা করা হয়, এখানে কমপক্ষে ১৬টি কক্ষ রয়েছে, যেখানে একসঙ্গে ৩০ বন্দি রাখার সক্ষমতা রয়েছে। আয়নাঘরটি বাংলাদেশের ঢাকা সেনানিবাস এলাকায় অবস্থিত বলে ধারণা করা হয়। 

আওয়ামী লীগের শাসনামলে আয়নাঘরে দিন, মাস, এমনকি বছরের পর বছর মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন সহ্য করেছেন অনেকে। আয়নাঘর বাইরের পৃথিবী থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন। এখানে বন্দিরা বাইরের কোনো আলো দেখতে পান না।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের আগে ও পরে গোপন বন্দিশালা থেকে ছাড়া পাওয়া ব্যক্তিদের কয়েকজন বন্দিশালার এমন চিত্র তুলে ধরে বলেছেন, ওই অজ্ঞাত বন্দিশালায় বেঁচে থাকাটাও ছিল দুঃসহ যন্ত্রণার। সারাক্ষণ মৃত্যুর প্রহর গুনতে হতো, এই বুঝি বের করে নিয়ে গেল।


সর্বশেষ সংবাদ