বেকারত্ব কমাতে উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নে নানান পরিকল্পনা
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৩৯ AM , আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৪৯ AM
দেশে উচ্চশিক্ষার শিক্ষার মানোন্নয়নে কিছু বিষয়ে সংস্কার করতে চায় অন্তবর্তী সরকার। এ জন্য অনার্সের কারিকুলামে প্রয়োজনীয় বিষয় যুক্ত করার চিন্তাভাবনা করছেন দায়িত্বশীলরা। এর মাধ্যমে শিক্ষাকে কর্মমুখী করার চেষ্টা করা হবে। তবে বিষয়টি এখন আলোচনার পর্যায়ে আছে। শিক্ষা সংস্কারের জন্য দায়িত্বশীলরা বিষয়গুলোর সম্ভাব্যতা খতিয়ে দেখবেন। ইতিমধ্যে শিক্ষা উপদেষ্টাও বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন।
রোববার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, উচ্চশিক্ষায় নানা ধরনের সংকট আছে, এটি সমাধান করা দরকার। এখন উচ্চশিক্ষা পরবর্তী বেকারত্ব সৃষ্টি হচ্ছে, এটি আশংকাজনক। উচ্চ মাধ্যমিকের পর শিক্ষার্থীরা দেশের বাইরে চলে যান। এটি বন্ধ করা উচিত। সেজন্য উচ্চশিক্ষার মান উন্নত করতে হবে।
বেকারত্ব কমানোর বিষয়টি নিয়ে শুরু থেকেই অন্তর্বর্তী সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনা হচ্ছে। এ কারণেই শিক্ষা উপদেষ্টা বিষয়টি নিয়ে কথা বলছেন। সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমও শিক্ষায় নানা পরিবর্তনের কথা বলেন। তিনি বলেছেন, বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে শিক্ষার্থীদের গড়ে তুলতে শিক্ষাব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানো হবে।
জানা গেছে, শিক্ষিত তরুণদের কর্মসংস্থান তৈরির জন্য এসব সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এর মূল উদ্দেশ্য থাকবে, যা শিক্ষিত বেকার তৈরি না হয়। তবে আনুষ্ঠানিক কোনও আলোচনা হয়নি। দেশে শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর বিরাট একটি অংশ বেকার থেকে যাচ্ছে। সে কারণে এমন চিন্তাভাবনা শুরু করেছেন নীতিনির্ধারকরা।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, বেকারত্ব কমানোর বিষয়টি নিয়ে শুরু থেকেই অন্তর্বর্তী সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনা হচ্ছে। এ কারণেই শিক্ষা উপদেষ্টা বিষয়টি নিয়ে কথা বলছন। সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমও শিক্ষায় নানা পরিবর্তনের কথা বলেন। তিনি বলেছেন, বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে শিক্ষার্থীদের গড়ে তুলতে শিক্ষাব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানো হবে।
তাঁর ভাষ্য, স্কুল-কলেজ পর্যায়ে আইসিটি বিষয়টি তেমন যুগোপযোগী হয়নি। বিশ্বব্যাপী আইসিটি যে পর্যায়ে চলে গেছে, তা আপডেট হয়নি। দেশে এটি আপডেট করা না গেলে টেকনিক্যাল বিষয়ে দক্ষতাসম্পন্ন ছেলেমেয়ে পাব না। এ কারণে তথ্যপ্রযুক্তি, ভোকেশনাল ও কারিগরি শিক্ষা যুগোপযোগী করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী অধ্যাপক এম আমিনুল ইসলামও শিক্ষাঙ্গনের মেধাবী ও দক্ষতাসম্পন্ন লোকদের নিয়ে শিক্ষা কমিশন গঠন হবে বলে জানিয়েছেন।
এরইমধ্যে রোববার শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, সরকারি এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা এবং গবেষণা বাড়ানো দরকার। আগে দেশের শিক্ষাঙ্গনে নানান সংকট সৃষ্টি হয়েছে। রীতিমতো দুর্বৃত্তায়ন করা হয়েছে। সেগুলো বন্ধ করতে কাজ করা হচ্ছে। উপাচার্যসহ অন্যান্য নিয়োগের ক্ষেত্রে যোগ্য ব্যক্তিদের নিয়ে আসা হচ্ছে। দেশের বাইরে থাকা ভালো শিক্ষক এবং গবেষকদের ফিরিয়ে আনতে কাজ করছে সরকার।
আরো পড়ুন: উচ্চশিক্ষায় নানান সমস্যা আছে, সমাধান করা দরকার: শিক্ষা উপদেষ্টা
এটাকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য বড় সুযোগ উল্লেখ করে তিনি বলেন, রিভার্স ব্রেইন ড্রেইন হতে পারে। সেজন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কর্তা ব্যক্তিদের শিক্ষা ও গবেষণায় ভালো কাজ করতে হবে। রাজনৈতিক বিবেচনায় জেলায় জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় করা হয়েছে। এসব জায়গায় শিক্ষক নেই, শিক্ষার মান নেই। পড়াশোনার পর এসব শিক্ষার্থীদের কী হবে, তা চিন্তা করতে হবে।
উপদেষ্টা বলেছেন, উচ্চশিক্ষার মান বৈশ্বিক প্রেক্ষিতে উন্নত করার সহজ উপায় নেই। সেজন্য বড় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে কাজ করা যেতে পারে। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকা বাংলাদেশিদের নিয়ে শিক্ষার মান বাড়াতে কাজ করা যেতে পারে। চীন এটি করছে। আমাদের দেশে এমন পরিবেশ এখনও হয়নি। সেজন্য ভিজিটিং শিক্ষক হিসেবেও তাদের রাখা যেতে পারে। ইউজিসির নাম পরিবর্তনের মাধ্যমে উচ্চশিক্ষা কমিশন করে তাদের ক্ষমতা বৃদ্ধির কথাও বলেছেন তিনি।