নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় ঘোষণা প্রধান উপদেষ্টার, যা বলছে ইসি

ইসি কার্যালয় ও তাহমিদা আহমদ
ইসি কার্যালয় ও তাহমিদা আহমদ  © ফাইল ছবি

আগামী বছরের ডিসেম্বর অথবা ২০২৬ সালের প্রথমার্ধে নির্বাচন আয়োজন করার কথা জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস। তার এমন বক্তব্যের পর গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) তাহমিদা আহমদ।

সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) দুপুরে তিনি জানান, কমিশন ২০২৫ সালের শেষ দিকে অথবা ২০২৬ সালের প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিচ্ছে।
 
এর আগে বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা জানান, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার জন্য নির্বাচন সংশ্লিষ্ট প্রধান সংস্কারগুলো বাস্তবায়ন করার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। তিনি দেশবাসীর সহযোগিতা কামনা করে বলেন, ‘সংস্কার কার্যক্রম সফল করতে আমরা আপনাদের অব্যাহত সমর্থন ও পরামর্শ আশা করি।’

জাতির উদ্দেশে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, এখন থেকে সবাই মিলে এমন একটা ঐতিহ্য সৃষ্টি করতে পারি যে স্থানীয় নির্বাচনসহ সব নির্বাচনে সব কেন্দ্রে প্রথমবারের ভোটাররা ১০০ শতাংশের এর কাছাকাছি সংখ্যায় ভোটদান নিশ্চিত করবে। এটা নিশ্চিত করতে পারলে ভবিষ্যতে কোনো সরকার মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার সাহস করতে পারবে না।

ভাষণে ড. ইউনূস বলেন, আমাদের সংস্কারের যে আকাঙ্ক্ষা সেটি বাস্তবায়নে প্রতিটি কমিশনই আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তবে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার ও সংবিধান সংস্কার কমিশনের কথা আমি একটু আলাদাভাবে বলতে চাই, কেননা এই দুটি কমিশনের সুপারিশের ওপর প্রধানত নির্ভর করছে আমাদের আগামী নির্বাচন প্রস্তুতি ও তারিখ।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এ প্রসঙ্গে বড় খবর হলো প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়ে গেছে। কমিশন দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। এখন থেকে তাদের হাতে দায়িত্ব ন্যস্ত হলো ভবিষ্যৎ সরকার গঠন করার প্রক্রিয়া শুরু করার। তারা তাদের প্রস্তুতির কাজ শুরু করেছেন। তাদের হাতে অনেক কাজ।

ড. ইউনূস বলেন, প্রথমে সবচেয়ে বড় কাজ ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা। এটা এমনিতেই কঠিন কাজ। এখন কাজটা আরো কঠিন হলো এজন্য যে গত তিনটা নির্বাচনে ভোটারদের অংশগ্রহণ করার সুযোগ ছিল না। ভোটার তালিকা যাচাই করার সুযোগ হয়নি কারোর। গত ১৫ বছরে যারা ভোটার হওয়ার যোগ্য হয়েছে তাদের সবার নাম ভোটার তালিকায় তোলা নিশ্চিত করতে হবে। এটা একটা বড় কাজ। ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানের পর এখানে গলদ রাখার কোনো সুযোগ নেই। দীর্ঘদিন পর এবার বহু তরুণ তরুণী জীবনে প্রথমবারের মতো ভোট দেবে। অতীতে তাদেরকে সে অধিকার এবং আনন্দ থেকে বঞ্চিত করা হয়েছিল। তাই এবারের নির্বাচনে তাদের ভোটদান একটি স্মরণীয় ঘটনা হয়ে থাকবে। এই অভিজ্ঞতাকে মসৃণ করার সমস্ত আয়োজন করতে হবে।


সর্বশেষ সংবাদ