ফেসবুকে চরমোনাই পীরের ওয়াজ নিয়ে কটূক্তি, জামায়াতকর্মীকে মারধর

রৌমারী উপজেলা জামায়াতের পথসভা
রৌমারী উপজেলা জামায়াতের পথসভা  © সংগৃহীত

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর দুই কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। ফেসবুক পোস্টের মন্তব্যকে ঘিরে মারধরের এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে জামায়াত। এ ঘটনায় দুই দলের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার বড়াইকান্দি বাজারে এই ঘটনা ঘটেছে।

রৌমারী উপজেলা জামায়াত সূত্রে জানা গেছে, ‘বাইন মাছে জিকির করে’ চরমোনাই পীরের এমন একটি ওয়াজের ভিডিও ফেসবুকে পোস্ট করেন ইসলামী আন্দোলনের রেজাউল নামের এক কর্মী। এতে মোসলেম উদ্দিন নামের এক জামায়াতকর্মী কমেন্ট করেন, ‘যারা এমন ওয়াজ করেন তারাও মূর্খ, যারা শোনেন তারাও মূর্খ’। এতেই ক্ষেপে যান ইসলামী আন্দোলনের নেতাকর্মীরা।'

পরে শুক্রবার বড়াইকান্দি বাজারের একটি দোকানে ইসলামী আন্দোলনের কিছু নেতাকর্মী জামায়াতকর্মী মোসলেম উদ্দিন ও আনোয়ার হোসেনকে ডেকে এনে মারধর করেন।

ভুক্তভোগী জামায়াতকর্মীরা জানিয়েছেন, মারধরের ঘটনায় মোনতাজ, সাহেব আলী, মিজানুর, সহিদুর, রেজাউল, সাইদুর, আমিনুল, শফিকুলসহ ইসলামী আন্দোলনের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী অংশ নেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এ ঘটনায় দুই দলের নেতারা আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেন। এ নিয়ে শনিবার (৭ ডিসেম্বর) বড়াইকান্দি বাজারে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নিরাপত্তাহীনতার কথা বলে ইসলামী আন্দোলনের উপজেলা নেতারা বৈঠকে অংশ নেননি। প্রতিবাদস্বরূপ শনিবার জামায়াত বিক্ষোভ মিছিল বের করে এবং রৌমারী থানায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করে।

এ বিষয়ে রৌমারী উপজেলা ইসলামী আন্দোলনের সভাপতি আকতার হোসেন বলেন, ‘মারধরের ঘটনায় শনিবার বড়াইকান্দি বাজারে উভয় পক্ষের বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি, তাই উপস্থিত হইনি। এ বিষয় পরে বসা হবে।’

ইসলামী আন্দোলনের নেতাদের আশঙ্কার প্রশ্নে উপজেলা জামায়াত নেতা আমির হায়দার আলী বলেন, ‘এটা তাদের ধারণা। জামায়াত একটি আদর্শিক দল। আমাদের কর্মীদেরও ভুল হয়ে থাকতে পারে। আমরা দ্বন্দ্ব চাই না। শান্তিপূর্ণ উপায়ে সুষ্ঠু সমাধান চাই। আমাদের নেতাকর্মীদের জমায়েত দেখে তারা হয়তো নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। কিন্তু আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের সুযোগ শেষ না হওয়া পর্যন্ত মামলা করতেও আগ্রহী নই।’

রৌমারী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মমিনুল ইসলাম বলেন, ‘মারধর হয়েছে কি না জানি না। তবে দুই দলের মধ্যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি ছিল। তাদের মধ্যে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। শুনেছি ইসলামী আন্দোলনের লোকজন নিরাপত্তাহীনতায় ভোগার কারণে বৈঠক হয়নি।’ 

তবে কোনো পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারেননি এএসপি।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence