২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৬:৩৮

কেন্দুয়ায় ১১ ইউপি চেয়ারম্যানকে অপসারণ, দায়িত্বে সরকারি কর্মকর্তারা

১১নং চিরাং ইউনিয়ন পরিষদ  © সংগৃহীত

নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানদের চেয়ারম্যানকে অপসারণ করছে সরকার। তাদের জায়গায় দায়িত্ব পালন করবেন সরকারি কর্মকর্তারা।

স্থানীয় সরকার  ইউপি-১ শাখা এবং ১৯/০৮/২০২৪ তারিখের ৬৮৪ নং পরিপত্রের আলোকে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯ এর ধারা ১০১ ও ১০২ প্রয়োগপূর্বক তাদের স্থলে ১১ জন সরকারি কর্মকর্তাদের আর্থিক ও প্রশাসনিক দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

আজ বুধবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরের দিকে নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক বনানী বিশ্বাস এক অফিস আদেশের মাধ্যমে এ দায়িত্ব পরিবর্তন করেন।

অফিস আদেশে বলা হয়েছে,কেন্দুয়া  উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দীর্ঘদিন ধরে অনুপস্থিত আছেন। প্যানেল চেয়ারম্যানরাও কাজ না করায় দাপ্তরিক ও নাগরিক সেবামূলক কাজের চরম ব্যাঘাত ঘটছে। নাগরিকেরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।তাই স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন,২০০৯–এর ধারা ১০১ ও ১০২ অনুসারে কেন্দুয়া  উপজেলার ১১টি ইউপিতে কর্মকর্তাদের আর্থিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।

ইউনিয়ন গুলো হলো ২নং আশুজিয়া, ৩ নং দলপা, ৪নং গড়াগডোবা, ৬নং  সান্দিকোনা, ৭ নং মাসকা, ৮নং বলাইশিমুল ১০নং কান্দিঊড়া, ১১নং চিরাং, ১২নং রোয়াইলবাড়ী, ১৩নং পাইকিড়া ও ১৪ নং মোজাফরপুর ইউনিয়ন।

আরও পড়ুন: নেত্রকোনায় নদী থেকে শিশুর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার

অপসারণকৃত ১৩ নং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাকির আলী ম ভূঞা বলেন, আমাদের মিথ্যা মামলায় দিয়ে হয়রানি করার কারণে আমরা মাঝে মাঝে ইউনিয়ন পরিষদের কাজগুলো করার চেষ্টা করলেও সঠিকভাবে করা সম্ভব হয়ে উঠে নাই। এখন সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাতে বলার কিছু নেই।’

আওয়ামী লীগের টিকিটে নৌকা প্রতীকে বিজয়ী এবং আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত এই জনপ্রতিনিধিরা ৫ আগস্টের পর ইউপি কার্যালয়ে নিয়মিত না যাওয়া এবং তাদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা থাকায় গ্রেফতার এড়াতে আত্নগোপনে থাকায় এবং প্যানেল চেয়ারম্যান গণের মধ্যে অন্তদ্বন্ধ থাকায় ইউনিয়ন পরিষদ প্রদত্ত সাধারণ কাঙ্ক্ষিত সেবাগ্রহীতারা বঞ্চিত হচ্ছিলেন।

কেন্দুয়া  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমদাদুল হক তালুকদার  বলেন, গত ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর বিশেষ পরিস্থিতি তৈরি হয়। ইউপি চেয়ারম্যানরা মাঝেমধ্যে পরিষদে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু শতভাগ সেবা দিতে পারছিলেন না মানুষকে।এতে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি হচ্ছিল বিধায় জেলা প্রশাসক এ আদেশ জারি করেন।