২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৩:২৩

দেশে সম্প্রীতি নষ্ট করার পরিকল্পনা নিয়ে চিন্ময় কাজ করছিল: উপদেষ্টা নাহিদ

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম  © সংগৃহীত

বিভিন্ন সমাবেশে মিথ্যা ও উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে সাম্প্রদায়িক বিভাজন তৈরি করার চেষ্টা এবং নষ্ট করার পরিকল্পনা নিয়ে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস কাজ করছিল বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) রাতে নাহিদের ভেরিফাইড ফেসবুক একাউন্টে দেওয়া এক পোস্ট থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

নাহিদ লেখেন, অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফকে যেসকল সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসীরা হত্যা করেছে তাদের অবশ্যই কঠোর শাস্তি হবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শুরু থেকেই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের দাবিদাওয়া আন্তরিকভাবে বিবেচনা করেছে। কিন্তু চিন্ময় কৃষ্ণ দাস বিভিন্ন সভা সমাবেশে মিথ্যা ও উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে সাম্প্রদায়িক বিভাজন তৈরি করার চেষ্টা করে যাচ্ছিল। 

তিনি লেখেন, রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হওয়া সত্ত্বেও কোনো আইনগত পদক্ষেপ না নিয়ে বিভিন্ন সভা করে বেড়াচ্ছিলেন চিন্ময় কৃষ্ণ। মূলত এই ধরনের তৎপরতার মূল উদ্দেশ্য ছিল বিশ্ব মিডিয়ার দৃষ্টি আকর্ষণ করা এবং বাংলাদেশ ও জুলাই অভ্যুত্থানকে নেতিবাচক হিসেবে উপস্থাপন করা। ভারতীয় মিডিয়া এরকম মিথ্যা প্রচারণা বরাবরই করে আসছে।

আরও পড়ুন: অনাগত সন্তানকে দেখতে পারলেন না আইনজীবী সাইফুল

তিনি আরও লেখেন, আজকে চট্রগ্রাম আদালতে যেভাবে একজন আইনজীবীকে চিন্ময় কৃষ্ণের সমর্থকরা কুপিয়ে হত্যা করলো তা নজিরবিহীন। দেশে সম্প্রীতি বিনষ্ট করার পরিকল্পনা নিয়েই চিন্ময় কৃষ্ণ কাজ করছিল এবং সাম্প্রদায়িক উদ্দেশ্যে এ ধরনের সন্ত্রাসী সমর্থকগোষ্ঠী তৈরি করেছে।

তথ্য উপদেষ্টা লেখেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ বরাবরই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে ব্যবহার করে একটা সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করতে চেযেছে। এখন ভারতীয় মিডিয়াও মিথ্যা প্রোপাগান্ডা করে সাম্প্রদায়িক পরিস্থিতি করতে চাচ্ছে। সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায় বাংলাদেশের নাগরিক। তাদের নিরাপত্তা আমরা নিশ্চিত করবো। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার নাশকতাকারী হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসীদের আইনি প্রক্রিয়ায় সর্বোচ্চ বিচার নিশ্চিত করবে।

সবাইকে ধৈর্য ধারণ ও শান্ত থাকার আহ্বান জানান এবং দ্রুতই সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করা হবে আশ্বাস দেন অন্তর্বর্তী সরকারের এই উপদেষ্টা।