বর্ণাঢ্য আয়োজনে ৪৬তম ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালিত
- ইবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৪৯ PM , আপডেট: ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১:০০ PM
বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্যে দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে। আনন্দ র্যালি, কেক কাটা, বেলুন ও পায়রা ওড়ানো, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালিত হয়।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) বেলা ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে কেন্দ্রীয় ফুটবল মাঠে জাতীয় সংগীতের সাথে জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিনব্যাপী আয়োজনের সূচনা করা হয়। এরপর শান্তির প্রতীক পায়রা ও আনন্দের প্রতীক বেলুন উড়ানোর মধ্য দিয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের শুভ উদ্বোধন করেন।
পরবর্তীতে কেক কেটে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপনের পর উপাচার্যের নেতৃত্বে একটি আনন্দ র্যালি বের করা হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগসমূহ, শাখা ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্রমৈত্রী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বস্তরের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা এতে অংশগ্রহণ করেন। র্যালিটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহিদ জিয়াউর রহমান স্থাপিত ভিত্তিপ্রস্তরে গিয়ে শেষ হয়। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন উপাচার্য। পরবর্তীতে ছাত্রদল, ইউট্যাব ও জিয়া পরিষদ পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করে।
পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ৪৬তম ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. আলীনূর রহমানের সভাপতিত্বে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের (টিএসসিসি) পরিচালক ড. জাকির হোসেন ও চারুকলা বিভাগের সভাপতি ড. কামরুল হাসানের যৌথ সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। এছাড়াও, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম, প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি ও সাদ্দাম হোসেন হলের প্রভোস্ট ড. আবুল কালাম আজাদ, থিওলজি অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ অনুষদের ডিন ড. আ ব ম ছিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফী ও আল কুরআন বিভাগের সভাপতি ড. নাছির উদ্দিন মিঝি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, এইদিনে শহীদ জিয়াউর রহমান আধুনিক ও ইসলামি শিক্ষার সমন্বয় করে উন্নত শিক্ষা প্রসারে এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। চারটি বিভাগ নিয়ে শুরু হওয়া বিশ্ববিদ্যালয়টিতে এখন ৩৬ টা বিভাগ রয়েছে। এইভাবে বিশ্ববিদ্যালয়টি হাঁটিহাঁটি পা পা করে ৪৬ বছরে পদার্পণ করেছে। তবে প্রতিষ্ঠার ৪৬ বছরে বিশ্ববিদ্যালয় তার লক্ষ্য-উদ্দেশ্য অর্জন করতে পারেনি। আমার প্রধান কাজ হচ্ছে এই বিশ্ববিদ্যালয়কে আন্তর্জাতিক মানের দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য শিক্ষা ও গবেষণায় অগ্রসর হওয়া।
উপাচার্য আরও বলেন, আপনাদের চাওয়ার বাহিরে আমার চাওয়া নেই, বিশ্ববিদ্যালয়টি আপনারা যেমন দেখতে চান, আমিও তেমন দেখতে চাই। আমার কাছে ভিসি পদ নয় বিশ্ববিদ্যালয়ই মূল্যবান। আমি নিজেকে ভিসি নয় সেবক মনে করতে চাই। আমি মনে করি এই সুযোগ আমাকে জুলাই আন্দোলন করে দিয়েছে। তাই আন্দোলনে স্পিরিট ধারণ করে শহীদের রক্তের ঋণের পরিশোধের জন্য কাজ করে যাব।