ভাঙ্গুড়ায় বাউত উৎসবের নামে পুকুরের ৫ লাখ টাকার মাছ লুটের অভিযোগ
- ভাঙ্গুড়া (পাবনা) প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৫১ PM , আপডেট: ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৪৩ PM
পাবনার ভাঙ্গুড়ায় বাউত উৎসবের নামের প্রায় সাড়ে তিন একর পুকুরের পাঁচ লক্ষাধিক টাকার মাছ শিকার করে নিয়ে গেলেন এমন অভিযোগ উঠেছে মৎস্যশিকারিদের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) সকাল ৭টার দিকে উপজেলার পৌর সদরের সরদারপাড়া গ্রামের সরকার পাড়া মৎস্য সমবায় সমিতির নামে চাষ করা একটি পুকুরে এ ঘটনা ঘটে।
সংশ্লিষ্ট মৎস সমবায় সমিতির সদস্যদের দাবি, পুকুরপাড়ের বাসিন্দা ও মৎস্য সমবায় সমিতির লোকজন টের পেয়ে মালিকানাধীন চাষ করা পুকুরে মাছ না ধরতে অনুরোধ করলেও মৎস্যশিকারিরা তা গ্রাহ্য করেননি। পরে সমিতির সদস্য ও পুকুরপাড়ের বাসিন্দা ঐক্যবদ্ধ হয়ে মৎস্যশিকারিদের ধাওয়া দিয়ে তারা পালিয়ে যান। এরই মধ্যে পাঁচ লক্ষাধিক টাকার মাছ শিকার করে নিয়ে যান তারা।
আরও পড়ুন: পাবনায় এমপিওর দাবিতে শিক্ষকদের মানববন্ধন
সূত্রে জানা গেছে, বর্ষার পানি চলে গেলে উন্মুক্ত নিচু জলাভূমিতে কিছু পানি থাকে। ওই সব এলাকায় শৌখিন মৎস্যশিকাশিরা মোবাইল ফোনের মাধ্যম্যে যোগাযোগ করে বিভিন্ন এলাকা থেকে একতাবদ্ধ হয়ে পলো, জালসহ মাছ ধরার বিভিন্ন ধরনের উপকরণ নিয়ে মাছ ধরতে নেমে পড়েন। পূর্বনির্ধারিত ভাঙ্গুড়া উপজেলার মহিলা ডিগ্রি কলেজের পাশে লোরার বিলে মঙ্গলবার শৌখিন মৎস্যশিকারিদের মাছ ধরার কথা ছিল। সেই লক্ষ্যে ভোর থেকে জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে মৎস্যশিকারিরা মহিলা ডিগ্রি কলেজের পাশে সরদারপাড়া ওয়াবদা বাঁধ (পানি উন্নয়ন বোর্ডের ) রাস্তার ওপর ভিড় করতে থাকে। নির্ধারিত মাছ ধরার স্থান লোরার বিলের পানিতে বেশির ভাগ স্থানে কচুরিপানা থাকার কারণে তারা মাছ ধরার জন্য পানিতে নামতে পারেননি। কিন্তু পাশেই সরকারপাড়া সমবায় মৎস্য সমিতির সাড়ে তিন একর পুকুরে সংঘবদ্ধ হয়ে পলো, জাল নিয়ে নেমে পড়েন মৎস্যশিকারিরা। এ খবর পেয়ে মৎস্য সমবায় সমিতির লোকজন পুকুরে আসতে আসতেই পাঁচ লাখ টাকা বেশি মাছ শিকার করে নেন মাছ শিকারিরা। পরে পুকুরপাড়ের বাসিন্দা ও সমবায় সমিতির লোকজন প্রথমে অনুরোধ করে না শুনলে পরে ধাওয়া দিলে মৎস্যশিকারিরা পালিয়ে যান।
আরও পড়ুন: পাবনায় কর্মহীন ও দরিদ্রদের মধ্যে গাভী-সেলাই মেশিন বিতরণ
স্থানীয় বাসিন্দা মেজবাহুল বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছ থেকে স্থানীয় সরকার পাড়া মৎস্য সমবায় সমিতির সদস্যরা লিজ নিয়ে মাছ চাষ করে আসছেন। প্রায় সাড়ে তিন একর জলাশয়ে লাখ লাখ টাকা খরচ করে চাষ করা মাছ বাউৎ উৎসবের নামে পাঁচ থেকে ছয় লাখ টাকার মাছ ধরে নিয়ে চলে গেছে।এ তে মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির লোকজন চরম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা. নাজমুন নাহার বলেন, সরদারপড়ার স্থানীয় লোকজনের পুকুরে জোর করে মাছ ধরতে আসার ষিয়টি তিনি শুনেছেন। স্থানীয় বাসিন্দারা প্রাথমিকভাবে তাদের অনুরোধ করে সরিয়ে দিয়েছেন। এর পরেও যদি আবার তারা অন্যের পুকুরে মাছ ধরতে আসে, তাহলে প্রশাসনিকভাবে অন্যায়মূলক কাজকে প্রতিহত করা হবে।