বাবার সঙ্গে ছাদ খোলা বাসে বিশ্বজয়ী হাফেজ মুয়াজ

বাবার সঙ্গে হাফেজ মুয়াজ মাহমুদ
বাবার সঙ্গে হাফেজ মুয়াজ মাহমুদ  © সংগৃহীত

বিমানবন্দরে নামার পরই ফুলের সংবর্ধনায় ভেসে যান হাফেজ মুয়াজ মাহমুদ। কারণ তুরস্কে অনুষ্ঠিত হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়ে দেশে ফিরেছেন মুয়াজ মাহমুদ। তাকে এই উষ্ণ অভিনন্দন জানান বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকসহ দেশ বরেণ্য আলেমরা।

বৃহস্পতিবার (১ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার ঢাকায় পৌঁছান হাফেজ মুয়াজ মাহমুদ। এর আগ থেকে বিমানবন্দরে তাকে বরণ করার জন্য সবাই আগে থেকেই ফুলের মালা নিয়ে অপেক্ষা করেন।

এরপর বিশ্বজয়ী হাফেজ মাহমুদকে বিশেষ সংবর্ধনা দিয়ে নেওয়া হয় ছাদ খোলা বাসে। নিয়ে যাওয়া হবে তার মাদ্রাসায়। যেই বাসে উঠেছেন হাফেজ মুয়াজের শিক্ষক, সহপাঠী, সেখানে রয়েছেন তার বাবাও।

এ সময় সাংবাদিকরা অনুভূতি জানতে চাইলে তার বাবা বলেন, এমন সংবর্ধনা নিশ্চয় গৌরবের, আনন্দের। শুকরিয়া মহান আল্লাহর কাছে। মুয়াজকে এমন সম্মান দেওয়ার জন্য।

এর আগে ইসলামী ঐতিহ্যের স্মৃতিবিজড়িত তুরস্কে অনুষ্ঠিত নবম আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম হন ঢাকার মিরপুর-১ এ অবস্থিত মারকাজুল ফয়জিল কোরআন আল ইসলামি ঢাকার কিতাব বিভাগের কৃতীছাত্র মুয়াজ মাহমুদ।

প্রথম হওয়ায় তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ানের হাত থেকে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ মেহমানদের উপস্থিতিতে মুয়াজ মাহমুদ সম্মাননা ক্রেস্ট ও পুরস্কার গ্রহণ করেন।

এ ছাড়া হাফেজ মুয়াজ গত ২১ আগস্ট পবিত্র মক্কার মসজিদে হারামে অনুষ্ঠিত কিং আব্দুল আজিজ আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেন।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের পর এই প্রথম তুরস্কের আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় লাল সবুজের পতাকার বাংলাদেশ প্রথম স্থান লাভ লাভ করেন।

ইতোপূর্বে গত ২৮ মার্চ জাতীয় মসজিদ বায়তুল মুকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধায়নে আন্তর্জাতিক এ প্রতিযোগিতার বাছাইপর্বে দেশের শত শত মেধাবী হাফেজকে পেছনে ফেলে প্রথম স্থান অর্জন করে তিনি তুরস্ক আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতার জন্য বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিনিধি নির্বাচিত হন।

উল্লেখ্য, মুয়াজ মাহমুদ ২০২৩ সালে ৪৬তম কেন্দ্রীয় বেফাক পরীক্ষায় নাহবেমির জামাতে অংশগ্রহণ করে মেধাতালিকা অর্জন করেছিলেন।


সর্বশেষ সংবাদ