কোরআনে হাফেজ হওয়ার পর বাচ্চাদের স্কুল-মাদ্রাসায় ভর্তিতে বিশেষ সুযোগ দিতে হবে: শিক্ষামন্ত্রী

শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বক্তব্য রাখছেন
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বক্তব্য রাখছেন  © টিডিসি ফটো

শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন, আমাদের সমাজের অনেক বাবা-মার ইচ্ছে থাকে তাদের সন্তানকে কোরআনের হাফেজ বানাবেন। তারপর তাদের সাধারণ শিক্ষায় নিয়ে আসবে। তাই কোন বাচ্চা কোরআনে হাফেজ হওয়ার পর সাধারণ বিদ্যালয় কিংবা আলিয়া মাদ্রাসায় হোক, শিক্ষা গ্রহণের জন্য ভর্তিতে বিশেষ সুযোগ দেয়া অবশ্যই প্রয়োজন আছে। এই দরজা যেন আমরা বন্ধ না করি এবং আরও উন্মুক্তভাবে খোলা রাখি। 

আজ রবিবার (২ জুন) দুপুরে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনিস্টিটিউটের অডিটরিয়ামে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এঁর জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে বই পড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ, মেধা বৃত্তি, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান এবং ফাজিল ও কামিল মাদরাসার অবসরপ্রাপ্ত সম্মানিত অধ্যক্ষগণের সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। 

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, দেশে কওমি মাদ্রাসায়ও অনেকে পড়াশোনা করছে। তাদেরকে আলিম মাদ্রাসায় আসার জন্য কোনোভাবেই যেন দরজা বন্ধ না করি এবং সেটা সব সময় খোলা রাখি। কওমি মাদ্রাসায় অনেক এতিম শিশু পড়াশোনা করে, অনেকের বাবা নেই, মা নেই। তারা সেখানে পড়াশোনা করছে, জীবিকার তাগিদে অনেকে সেখানে পড়াশেনা করছে। তাদেরকে যদি আলিয়া মাদ্রাসায় শিক্ষার সুযোগ না দিই তাহলে দক্ষতা ও সাক্ষরতায় তারা অনেকে পিছিয়ে থাকবে। 

তিনি বলেন, আজকে উপস্থিত বিশিষ্ট ইসলামিক চিন্তাবিদ যারা অবসর নিয়েছেন অনেকে, কিন্তু এখনো পেশা চালিয়ে যাচ্ছেন, অনেকে দ্বীনি শিক্ষার জন্য কাজ করছেন, কিন্তু যার যার অবস্থান থেকে আমাদের প্রশ্ন করতে হবে, দ্বীনি শিক্ষাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মানে, আন্তর্জাতিক মানে নিয়ে যাওয়ার জন্য এই বাংলাদেশে এর আগে যতগুলো পদক্ষেপ নেয়া হয়েছিলো, কোনো পদক্ষেপই শেষ পর্যন্ত বাস্তবায়িত হয়নি।

ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুর রশীদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ইসলামি চিন্তাবিদ ও ধর্ম মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মাওলানা মোহাম্মদ হুছামুদ্দীন চৌধুরী। 

এছাড়া অনুষ্ঠানে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য ও একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য, ঢাকা মহানগরের ফাজিল ও কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষসহ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এঁর জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে বই পড়া প্রতিযোগিতার বিজয়ী শিক্ষার্থীরা, মেধা বৃত্তিপ্রাপ্ত, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থীরা এবং ফাজিল ও কামিল মাদ্রাসার অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষগণ উপস্থিত ছিলেন।


সর্বশেষ সংবাদ