সংস্কারের উপসংহার থাকতে হবে, অনন্তকাল চললে প্রশ্ন উঠবেই: রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার যে সংস্কারের কথা বলছে, তার একটা উপসংহার থাকতে হবে। যদি তা উপসংহারহীন হয়, অনন্তকাল ধরে চলতে থাকে, তখন প্রশ্ন উঠবেই।
সোমবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে সাভারের ব্যাংক টাউন এলাকায় ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত শহীদ ইয়ামিন ও নাফিসার পরিবারকে বিএনপির পক্ষ থেকে নগদ অর্থসহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ করে রিজভী বলেন, আপনারা নির্বাচন কমিশন নিয়ে, পুলিশ নিয়ে, বিচার বিভাগ নিয়ে, জনপ্রশাসন নিয়ে যে কমিশনগুলো করেছেন, সেগুলো যাতে দ্রুত কাজ করে, দ্রুত রিপোর্ট দেয়। একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের দিকে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। কারণ, সংস্কারের মূল কাজটি তো করবে গণতান্ত্রিক পার্টি, যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে।
আরও পড়ুন: শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ: ২৫২ এসআইকে অব্যাহতি
দেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ক্ষেত্রে কিছু জটিলতা রয়েছে দাবি করে রিজভী বলেন, আপনারা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য একটা পরিবেশ তৈরি করুন। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম ও প্রধান কমিটমেন্ট হচ্ছে প্রকৃত গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনা। সেটা নিশ্চিত করতে না পারলে সত্যিকার অর্থে আবু সাঈদ, নাফিসা ও ইয়ামিনের মতো যারা জীবন দিয়েছেন, তাদের আত্মত্যাগ বৃথা হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, যারা এই আন্দোলনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সরকারের গুলিতে অথবা ছাত্রলীগ-যুবলীগের আক্রমণে কারও হাত গেছে, কারও পা গেছে এবং কেউ অন্ধ হয়ে গেছে। তারা ও তাদের পরিবারের সদস্যরা যাতে হতাশার মধ্যে না পড়ে, এ জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের পাশাপাশি আমাদের তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে।
দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে সরকারের অভিযানকে স্বাগত জানিয়ে রিজভী বলেন, মানুষ যাতে না খেয়ে থাকে, সেই পরিবেশ যাতে সৃষ্টি না হয়, মানুষ যেন দুমুঠো খেতে পারে, সে জন্য বাজার সিন্ডিকেট, মার্কেট সিন্ডিকেটে যারা যারা আছে, তাদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।