আমির হোসেন আমু আছেন সন্দেহে বসুন্ধরায় ঘেরাও ভবন, অতপর... 

  © ফাইল ছবি

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু একটি বাসায় অবস্থান করছেন- এমন খবরে গতকাল রাতে বসুন্ধরা আবাসিকের একটি বাসা ঘিরে রাখে শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনগণ। এসময় আমুকে না পেলেও আওয়ামীলীগের ২ নেতাকর্মীকে আটক করে পুলিশ। 

রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টা থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত বাসার চারপাশে অবস্থান নিয়ে থাকে তারা। একপর্যায়ে রাত দুইটার দিকে বাসার গেট ভেঙে ভেতরে ঢোকে শিক্ষার্থীরা। এসময় বাসার নিচ তলায় বেশ কিছু ফার্নিচার ও গ্লাস ভাঙচুর করে তারা।

শিক্ষার্থীদের দাবি, সন্ধ্যার পরপরই তারা বাসা সার্চ করতে চাইলেও গেট খোলা হয়নি। উল্টো শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে ভেতর থেকে পানি মারা হয়। ছাদের উপর থেকে ইটের টুকরাও ছোড়া হয়। জবাবে শিক্ষার্থীরাও ভবনের বিভিন্ন ফ্লোর ও ছাদে ইটের টুকরা ছুড়ে মারে। পরে সেখান থেকে শামীম নামের এক আওয়ামী লীগ নেতাসহ দুই জনকে অস্ত্রসহ গ্রেফতার করে পুলিশ।

প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্টস এলায়েন্স অফ বাংলাদেশ (পুসাব) নামে এক ফেসবুকের পেজের পোস্ট থেকে জানা যায়, সি ব্লকের মাটি প্রপার্টিজে আওয়ামী লীগের আমির হোসেন আমু ও পিচ্ছি শামীম (মাটি প্রপার্টিজের মালিক) লুকিয়ে আছেন তথ্যে শিক্ষার্থীদের একটি অংশ বিল্ডিংটি ঘেরাও করে (আনুমানিক ১২টার দিকে, উল্লেখ্য সি ব্লক এলাকা পুরোটাই শিক্ষার্থী অধ্যুষিত)। এসময় ভেতর থেকে আরেকটি পক্ষ শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালায়।

এতে বলা হয়েছে, এপর্যায়ে সেনাবাহিনীকেও ডাকার কথা জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা। পরবর্তীতে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা পর শিক্ষার্থীরা সহযোগিতার জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ব্যাক্তিগতভাবে যোগাযোগ করে আরো শিক্ষার্থী জড়ো করে। কিন্তু ভেতরে থাকা ব্যক্তিদের কাছে অস্ত্র আছে এমন তথ্যে তারা দীর্ঘসময় বিল্ডিংটির বসুন্ধরা অংশ ঘিরে রাখে। প্রায় ২ ঘণ্টা পর ভেতরে থাকা অপর পক্ষ পেছনের গেইট দিয়ে বেরিয়ে যায় এবং শিক্ষার্থীরা একজোট হয়ে বিল্ডিংটিতে প্রবেশ করে।

ফেসবুক পেজটির পোস্টে উল্লেখ করা হয়েছে, আওয়ামী লীগ নেতা শামীমের এই বিল্ডিংটি বেশ বিতর্কিত ও অপরাধের আতুরগর। বিল্ডিংটির কুড়িল ও বসুন্ধরা উভয়পাশে গেইট থাকায় পালিয়ে যাওয়া সহজ।


সর্বশেষ সংবাদ