জেলা বিএনপি ও ছাত্রদলের তিন নেতাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা
মিথ্যা, ষড়যন্ত্র ও হয়রানিমূলক মামলার অভিযোগে নড়াইল জেলা বিএনপি ও ছাত্রদলের তিন নেতাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে নড়াইল জেলা শ্রমিকদলের এক সদস্য। শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে জেলা শহরের পুরাতন বাস টার্মিনালে একটি গেস্ট হাউজে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন জেলা শ্রমিক দলের সদস্য জুয়েল জমাদ্দার। নড়াইল পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডবাসীর ব্যানারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি ওই তিন নেতার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন।
অবাঞ্ছিত ঘোষিত হওয়া নেতারা হলেন– জেলা বিএনপির জ্যেষ্ঠ সহ সভাপতি জুলফিকার আলি মণ্ডল, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহরিয়ার রিজভী জর্জ ও জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ফরিদ বিশ্বাস।
সংবাদ সম্মেলনে জুয়েল জমাদ্দার বলেন, আমাদের জমাদ্দার বংশের প্রায় ১০০ ভাগই শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শের সৈনিক। আমরা প্রায় সবাই বিএনপি করি। গত ৯ সেপ্টেম্বর নড়াইল সদর থানায় একটি মামলা হয় (মামলা নং-৩৬২৪/৯৯২৪)। এ মামলা সম্পূর্ণ মিথ্যা, ষড়যন্ত্র ও হয়রানিমূলক। এ মামলার আসামিদের মধ্যে প্রায় সবাই বিএনপি করে এবং বিগত আওয়ামী সরকার আমলে ষড়যন্ত্রের শিকার। মামলাটি জেলা বিএনপির জ্যেষ্ঠ সহ সভাপতি জুলফিকার আলি মণ্ডল, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহরিয়ার রিজভী জর্জ ও জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ফরিদ বিশ্বাসের ইন্ধনে হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ফরিদ বিশ্বাস ৩ সন্তানের জনক এবং মেয়াদোত্তীর্ণ জেলা ছাত্রদলের সভাপতি এবং তার বংশের ৯৯ শতাংশ লোক আওয়ামী লীগ করে। ফরিদ বিশ্বাস ৫ আগস্টের পর চাঁদাবাজি, দখল ও মামলা বাণিজ্য করেছে। অন্যদিকে জুলফিকার আলি মন্ডল বিএনপিতে যোগদান করার আগে ৩-৪টি দল পাল্টানো লোক। তিনি একজন ভয়ংকর সুবিধাবাদী রাজনীতিবিদ। তিনি গত ৫ এপ্রিল জেলা বিএনপির ইফতার পার্টিতে সবার সামনে দল ত্যাগের ঘোষণা দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ নয়, যৌক্তিক সংস্কার চায় শিবির: সভাপতি
তিনি বিএনপির নাম ভাঙিয়ে দুর্নীতি-অনিয়ম করেছেন এবং আওয়ামী লীগের লোকজনের সঙ্গে তার ব্যাপক সখ্য রয়েছে। এ ছাড়া জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শাহরিয়ার রিজভী জর্জ ঠান্ডা মাথার চাঁদাবাজ। তাই এই তিন নেতাকে আমরা ৫নং ওয়ার্ডের সাধারণ মানুষ প্রত্যাখ্যান ও অবাঞ্ছিত ঘোষণা করছি। পাশাপাশি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
তবে এসব অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন অভিযুক্তরা। তাদের দাবি, সামনে জেলা বিএনপির নতুন কমিটি গঠন হবে। সেখানে ফায়দা নিতে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এসব মিথ্যা অভিযোগ তুলেছে।