চাকরিতে বৈষম্য চান না পেট্রোবাংলার অস্থায়ী কর্মচারীরা
পেট্রোবাংলা ও পেট্রোবাংলার আওতাধীন ১৩টি কোম্পানির চাকরিতে বৈষম্য দূর করার এক দফা দাবি জানিয়েছেন অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
তাদের দাবি, আউটসোর্সিং, মাষ্টাররোল, চুক্তিভিত্তিক, দৈনিক মজুরি ভিত্তিতে কর্মরত সবাইকে স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠানে বয়স শিথিল করে স্থায়ী করতে হবে।
এসময় বলা হয়, স্থায়ী কর্মকর্তা কর্মচারীরা সরকারি গ্রেডে বেতন, প্রফিট বোনাস, উৎসব বোনাস, চিত্তবিনোদন ভাতা, এক্সজেসিয়া বোনাস, ইনসেনটিভ বোনাস, পোশাক ভাতা, সন্তানদের জন্য চিকিৎসা ভাতা, বৈশাখী ভাতা, ইনক্রিমেন্ট ও ছুটিসহ নানা সুযোগ সুবিধা পান। কিন্তু অস্থায়ী কর্মচারীরা শুধুমাত্র মাসিক বেতন পেয়ে থাকে। এ বিষয়টি সুস্পষ্ট বৈষম্য, এর অবসান হওয়া দরকার। আউটসোর্সিং নীতিমালা ২০১৮ বলবৎ থাকলে এই বৈষম্য অব্যাহত থাকবে, যা বর্তমান অন্তবর্তী সরকারের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের জন্য অন্তরায়।
আরও পড়ুনঃ পেট্রোবাংলায় চাকরির লিখিত পরীক্ষা স্থগিত
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, স্থায়ী কর্মচারীদের বাৎসরিক ইনক্রিমেন্টের ব্যবস্থা থাকলেও এই নীতিমালা অনুযায়ী অস্থায়ীদের বাৎসরিক ইনক্রিমেন্টের ব্যবস্থা নেই। ফলে তারা বছরের পর বছর একই বেতন কাজ করে যাচ্ছে। আউটসোর্সিং প্রক্রিয়ায় সেবাগ্রহণ নীতিমালা, ২০১৮’ প্রণয়ন করার ফলে একই পদের স্থায়ী ও আউটসোর্সিংয়ের মধ্যে বেতন বৈষম্য তৈরি হয়েছে। এছাড়া বর্তমান নীতিমালা অনুযায়ী কোনো প্রকার ভাতা দেওয়া হয় না।
“বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ এর নবম অধ্যায়ের ‘কর্মঘন্টা ও ছুটি’ এর ১০৮ নাম্বার ধারায় অধিকাল কর্মের জন্য অতিরিক্ত ভাতা দেওয়ার নিয়ম থাকলেও পরবর্তীতে বিভিন্ন নীতিমালা কারণে অস্থায়ীদের অতিরিক্ত ভাতা দেওয়া থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। এছাড়াও অস্থায়ী কর্মচারীদের কোনো প্রকার ছুটি দেওয়া হয় না। যারা নারী কর্মচারী রয়েছেন তাদের মাতৃত্বকালীন ছুটির ব্যবস্থা নেই।
এসময় দেশের সংবিধানের আলোকে পেট্রোবাংলা ও এর আওতাধীন সব কোম্পানিকে বৈষম্যমুক্ত করতে ‘অস্থায়ী কর্মচারী কল্যাণ পরিষদ’ জোর দাবি জানায়।