২৬ আগস্ট ২০২৪, ১২:৫০

শাহবাগ অবরোধ করে বিক্ষোভ রিকশাচালকদের

শাহবাগে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ রিকশা চালকদের  © টিডিসি ফটো

রাজধানীর প্রধান সড়কগুলোয় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বন্ধের দাবিতে শাহবাগ মোড় অবরোধ করে রেখেছেন পায়ে চালিত রিকশার চালকরা। সোমবার (২৬ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে পায়ে চালিত রিকশা নিয়ে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেন শত শত চালক। এতে মোড়ের চারপাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

এ সময় ‘চলবে না চলবে না, অটোরিকশা চলবে না’, ‘অবৈধ অটোরিকশা চলতে দেওয়া হবে না’, ‘বাংলাদেশে বৈষম্য মানি না মানবো না’সহ নানা স্লোগান দিতে থাকেন প্যাডেল চালিত রিকশাচালকরা। বৃহত্তর ঢাকা সিটি করপোরেশন রিকশা মালিক ঐক্যজোটের ব্যানারে এ অবরোধ কর্মসূচি পালন করছেন চালকরা। এ সময় তারা বেশ কিছু দাবি উত্থাপন করেন।

তাদের দাবিগুলো হলো—ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মতো ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন থেকে রিকশা মালিকরা নতুন লাইসেন্স প্রদান ও পুরাতন লাইসেন্স নবায়ন করতে হবে; সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে ও বৈধ লাইসেন্সধারী রিকশা পেশাজীবীদের স্বার্থে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন থেকে চালক লাইসেন্স দিতে হবে। অসুস্থ চালকদের ফ্রি ফ্রাইডে মেডিক্যাল চিকিৎসা দিতে হবে; ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের লাইসেন্সপ্রাপ্ত রিকশা পেশাজীবীদের ব্যবসায়িক ট্রেড লাইসেন্স দিতে হবে।

আরও পড়ুন: সচিবালয় ও যমুনা এলাকায় অনির্দিষ্টকালের জন্য সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ

আন্দোলনের বিষয়ে অবরোধকারী রিকশাচালকরা বলেন, অটোরিকশার চালকরা যাত্রীদের কাছ থেকে ন্যায্য ভাড়া আদায় করে না। তারা যেখানে ৫০ টাকা ভাড়া, সেখানে ২০ টাকায় চলে যায়। তাদের কারণে আমরা কোনও যাত্রী পাই না। সারা দিন রিকশা চালিয়ে আমরা যে টাকা কামাই করি, তা দিয়ে নিজেরাই চলতে পারি না। দিনশেষে হাতে কোনও টাকা থাকে না। পরিবারের জন্যও বাড়িতে কোনও টাকা পাঠাতে পারি না।

তাদের দাবি—আগে এলাকার অলিগলিতে অটোরিকশা চলতো, এখন তারা প্রধান সড়কে অটোরিকশা চালায়। প্রধান সড়কে অটোরিকশা ট্রাফিক আইন মেনে চলে না। এদের কারণে যানজট তৈরি হয়, দুর্ঘটনা ঘটে। ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকরা ইনকামের জন্য নিয়ম না মেনে ইচ্ছা মতো চালায়।

বিষয়টি নিয়ে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীন জানান, চালকরা কিছু দাবি নিয়ে সড়কে দাঁড়িয়েছিলেন। কিছুক্ষণ অবস্থান করে পরে তারা চলে যান। বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। যানবাহনও স্বাভাবিকভাবে চলাচল করছে।