হাসিনার ‘৫০০ কোটি ডলারের ঘুষ’ নিয়ে সর্বশেষ যা জানা গেল
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অর্থ উপদেষ্টা সালেহ উদ্দিন আহমেদের সঙ্গে বৈঠকে রাশিয়ান রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার মান্টিটস্কি বলেছেন, ‘রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্পে ৫ বিলিয়ন ডলার ঘুষ দেয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও গুজব।’ রবিবার (২৫ আগস্ট) নগরীর শেরে বাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের অর্থ উপদেষ্টা সালেহ উদ্দিন আহমেদের সঙ্গে বৈঠকে আগে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ৫০০ কোটি ডলারের (৫৯ হাজার কোটি টাকা) বেশি আত্মসাৎ করেছেন বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই কাজে সহায়তা করেন তার ছেলে সজিব ওয়াজেদ জয় ও ভাগ্নি টিউলিপ সিদ্দিক। গত শনিবার (১৭ আগস্ট) গ্লোবাল ডিফেন্স কর্পের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে।
এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘নির্বাচনের আগ থেকে এই গুজবটা তৈরি করা হয়েছে। আমরা কি এতোই ক্রেজি হয়ে গেছি একজনকে ৫ বিলিয়ন দেবো। একটা প্রকল্প শুরু হলো আর ৫ বিলিয়ন দিয়ে দিলাম। এটা রিউমার ও মিথ্যা।’
জানা যায়, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য রাশিয়ার কাছ থেকে ১ হাজার ২৬৫ কোটি ডলার নেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে ২০১৬ সালে উভয় পক্ষের মধ্যে ঋণচুক্তি হয়। ১০ বছর গ্রেস পিরিয়ড শেষে ২০২৭ সালের ১৫ মার্চ রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ঋণের মূল কিস্তি (আসল পরিশোধ) শুরু হওয়ার কথা। প্রতিবছর ছয় মাস পরপর দুই কিস্তিতে মোট ৩৮ কোটি ডলার আসল পরিশোধ করতে হবে। এর সঙ্গে ১১ কোটি ডলার সুদ। অবশ্য সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সুদ ও আসলের পরিমাণ কমবে বা বাড়বে। এদিকে রাশিয়ার ঋণের কিস্তি দুই বছর পিছিয়ে দেওয়ার বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ২০২৯ সালের মার্চে এই কিস্তি পরিশোধ নিয়ে আলোচনা চলছে।
রাশিয়ার ঋণের আসল পরিশোধ দুই বছর পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে কি না, এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাষ্ট্রদূত কোনো উত্তর দেননি। রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, বাংলাদেশকে সহায়তা দেওয়া অব্যাহত রাখবে রাশিয়া। বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানিও বাড়াতে চায় রাশিয়া।