বন্যা নিয়ে ভারতীয় হাইকমিশনারকে যা বললেন ড. ইউনূস

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ভারতীয় হাইকমিশনারের  প্রথম সাক্ষাৎ
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ভারতীয় হাইকমিশনারের প্রথম সাক্ষাৎ  © সংগৃহীত

বন্যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যা প্রচার হচ্ছে, তা দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) বিকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মার সঙ্গে সাক্ষাতে তিনি এ কথা বলেন। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ভারতীয় হাইকমিশনারের এটিই ছিল প্রথম সাক্ষাৎ। 

পরে সাংবাদিকদের বিস্তারিত ব্রিফ করেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেন, ত্রিপুরার বন্যা পরিস্থিতির বিষয়ে ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণব ভার্মা বলেছেন, এতো বৃষ্টিপাত হয়েছে এটা ভারতেরও ধারণার বাইরে ছিল। সামাজিক মিডিয়াগুলোতে যেমনটি প্রচার হচ্ছে এটাকে দুঃখজনক বলেছেন ড. ইউনূস। 

আরও পড়ুন : বৃষ্টি কমে উন্নতি হতে পারে বন্যা পরিস্থিতির

প্রেস সচিব বলেন, ১০ জেলায় ৩৬ লাখ মানুষ বন্যা দুর্গত। এদের খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে। প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে এমন বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান প্রধান উপদেষ্টা। এখন পর্যন্ত কোন নিখোঁজ মানুষের সন্ধান পাওয়া যায়নি। 

প্রেস সচিব বলেন, প্রণব ভার্মা প্রথমবারের মতো প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সঙ্গে দেখা করেছেন। তিনি বলেছেন বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে ভারত সবসময়ই আগ্রহী। ভারতের সঙ্গে ড. ইউনূসের ব্যক্তিগত সুসম্পর্ক রয়েছে। ইউনুস সেন্টারের সঙ্গে ভারতের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়েও তার কাজ রয়েছে। এই সুসম্পর্ক অবশ্যই চলমান থাকবে, সুন্দর সম্পর্ক অব্যাহত থাকবে।  

আরও পড়ুন : ভারত না জানিয়ে বাঁধ খুলে দেওয়ায় বাংলাদেশে বন্যা ‘বিপর্যয়কর’

পানি বণ্টন চুক্তি নিয়েও ভারত-বাংলাদেশ কাজ করবে বলে বৈঠকে ড. ইউনুস জানিয়েছেন বলে জানান প্রেস সচিব। 
 
ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছে বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চল। ফেনী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া বন্যায় এখন পর্যন্ত দুজনের মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। দুজনের মধ্যের একজন ফেনীর ও একজন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার। এখন পর্যন্ত এই ৮ জেলায় ৪ লাখ ৪০ হাজার ৮৪০টি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

আরও পড়ুন :  বাঁধ খুলে দিয়ে ভারত অমানবিকতার পরিচয় দিয়েছে : নাহিদ

অভিযোগ উঠেছে, ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের ডুম্বুর জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের বাঁধ খুলে দেওয়ার কারণে বাংলাদেশে এমন পরিস্থিতি হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামও বন্যার পরিস্থিতির জন্য ভারতকে দায়ী করেন। অবশ্য ভারত সরকারের দাবি, বাংলাদেশের বন্যা গোমতির নদীর ওপর নির্মিত ডুম্বুর জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের বাঁধ খুলে দেওয়ার কারণে হয়নি। 


সর্বশেষ সংবাদ