বেক্সিমকো ফার্মার গাড়ি থেকে ৩ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার

ইয়াবা উদ্ধার
ইয়াবা উদ্ধার  © সংগৃহীত

মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ভবেরচর বাস বাসস্ট্যান্ডে, ট্র্যাফিক পুলিশের কাজে নিয়োজিত স্বেচ্ছাসেবী শিক্ষার্থীরা বেক্সিমকো কোম্পানির একটি ঔষধের গাড়ি থেকে ৩ হাজার পিস ইয়াবাসহ এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে।

বুধবার দুপুর সাড়ে বারোটায় সময় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ঢাকা মুখি লেনে একটি ওষুধের কাভার্ডভ্যানকে থামতে বলে শিক্ষার্থীরা। কিন্তু চালক নির্দেশ অমান্য করে গাড়ির গতি বাড়িয়ে দিলে, সামনে থাকা ছাত্ররা গাড়িটি থামাতে সক্ষম হয়। পরে তল্লাশি করে ভেতরে থাকা ব্যাগের ভিতর একটি কসটেপ মোড়ানো প্যাকেট থেকে ইয়াবাগুলো উদ্ধার করা হয়।

মিতুল ভূঁইয়া নামের এক ছাত্র বলেন, ‘চট্টগ্রাম থেকে টঙ্গীগামী একটি কাভার্ডভ্যানকে থামার জন্য আমি সিগন্যাল দেই। তবে চালক তা অমান্য করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে থাকে। কয়েকশো ফুট সামনে আমাদের আরও কয়েকজন ছাত্র রাস্তার মাঝখানে দাঁড়িয়ে গাড়িটি থামানোর চেষ্টা করলে গাড়িটির হেলপার ছাত্রদের ওপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে দিতে চালককে নির্দেশনা দেন। পরে আমরা চারদিক দিয়ে কাভার্ডভ্যানটিকে ঘিরে ফেললে সেটি আর পালিয়ে যেতে পারেনি।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘গাড়িটি থামানোর পর তল্লাশি করা হলে হেলপারের থেকে ৩ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। পরে আমরা পুলিশে খবর দিলে তারা আমাদের সহযোগিতা করার জন্য এগিয়ে আসে। এ সময় হেলপার সোহাগ পুলিশের কাছ থেকে পিস্তল ছিনিয়ে নিয়ে ছাত্রদের গুলি করার চেষ্টা করেন। পরে গাড়ির চালক কৌশলে পালিয়ে গেলেও হেলপার সোহাগকে আটক করে পুলিশের সোপর্দ করা হয়।’ 

আটক সোহাগ জানায়, তিনি টঙ্গীতে কোম্পানিটির ওয়্যারহাউসে শ্রমিক হিসাবে চাকরি করতেন। তবে সম্প্রতি মহাসড়কে পুলিশি টহল না থাকায় অধিক মুনাফার আশায় ইয়াবা বিক্রির ব্যবসা করার পরিকল্পনা নেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী চট্টগ্রাম থেকে ইয়াবা কিনে কোম্পানির গাড়িতে চালকের সহকারী হিসেবে ওঠেন তিনি। পথে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় ছাত্রদের হাতে আটক হন।

গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাজিব খান বলেন, ‘ছাত্ররা ইয়াবাসহ একজনকে আটক করে থানায় সোপর্দ করেছে। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি। ইয়াবা এবং জব্দ করা কাভার্ডভ্যান আমাদের হেফাজতে আছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’


সর্বশেষ সংবাদ