আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশিং কীভাবে ফের শুরু হবে?

বাংলাদেশ পুলিশ
বাংলাদেশ পুলিশ   © লোগো

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের লক্ষ্যে পহেলা জুলাই থেকে চার দফা দাবিতে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’-এর ব্যানারে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা লাগাতার কর্মসূচি দেয়। শুরু থেকেই আন্দোলন শান্তিপূর্ণভাবে চালিয়ে আসছিলেন শিক্ষার্থীরা। কিন্তু শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালায়। এতে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী-জনতা আহত হন। অভিযোগ উঠে, হামলায় ছাত্রলীগের পাশাপাশি নেতিবাচক ভূমিকা রাখে পুলিশ বাহিনীর বড় সংখ্যক সদস্য।

আন্দোলন দমন করতে গিয়ে অতিরিক্ত বলপ্রয়োগের কারণে পুলিশের ওপর বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে মানুষ। হামলার জবাব হিসেবে পুলিশের উপর পাল্টা হামলা করে যানবাহন ভাঙচুর এবং সদস্যদের মারধর করা হয়। জন–আক্রোশের শিকার হয়ে পুলিশের অনেক সদস্য নিহত হন। 
 
ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও আক্রমণ চলে শেখ হাসিনা সরকারের পতন হওয়া পর্যন্ত। জানা যায়, গত ৫ আগস্ট বিকেল থেকে সারাদেশে বিপুল সংখ্যক থানায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এমনকি থানা ও পুলিশের কাজে ব্যবহৃত গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। অনেক জায়গায় অস্ত্রসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম ও নথি লুট হয়। এতে ভেঙে পড়ে পুলিশি ব্যবস্থা। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে পুরো আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীটির সদস্যরা। 

পুলিশ সদর দপ্তর বলছে, দেশের ৬৩৯টি থানার মধ্যে শনিবার (১০ আগস্ট) বেলা ৩টা পর্যন্ত ৫৩৮টি থানার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এর মধ্যে বিভিন্ন মেট্রোপলিটনের ১১০টি থানার মধ্যে ৮৪টি এবং জেলার ৫২৯টি থানার মধ্যে ৪৫৪টি থানার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। যদিও খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, থানাভিত্তিক কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা বলা হলেও এখনো পর্যন্ত কর্মবিরতিতে রয়েছেন পুলিশের অধস্তন সদস্যরা। ১১ দফা দাবি না মানা পর্যন্ত কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়ার কথা বলছেন তারা। জানা যায়, গত ৯ আগস্ট রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে আইজিপি, র‌্যাবের মহাপরিচালক ও ডিএমপি কমিশনার উপস্থিত হয়েও অধস্তন পুলিশ সদস্যদের ক্ষোভ কমাতে পারেননি। 

অধস্তন সদস্যরা বলছেন, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ভুলের কারণে অসংখ্য সহকর্মী মারা গেছেন। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে চলে গেলেও বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাদের না জানিয়ে সবাই নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যান। তাৎক্ষণিক বিষয়টি নিয়ে কন্ট্রোলরুম থেকে বার্তা পাঠালে এত পুলিশ সদস্য মারা যেতেন না। এছাড়া এখন পর্যন্ত পুলিশের কতজন সদস্য নিহত হয়েছেন তার হিসাব জানাতে পারেনি পুলিশ সদর দফতর।

কীভাবে ফিরবে পুলিশ বাহিনীর পুলিশিং তা জানতে চাইলে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মো. ময়নুল ইসলাম, এনডিসি দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, কর্মস্থলে ফেরার ক্ষেত্রে ভয় বা আতঙ্কের কিছু নেই। পুলিশ সদস্যরা দেশের সেবা করার ব্রত নিয়ে এই বাহিনীতে যোগদান করেছেন। তিনি বলেন, পুলিশ সদস্যদের দাবি-দাওয়াগুলো আমরা জেনেছি। বিষয়টি নিয়ে একটি কমিটি করা হয়েছে। সব স্তরের পুলিশ সদস্যদের নিয়েই এই কমিটি করা হয়েছে। কমিটির প্রতিবেদনের আলোকে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আশা করি- এর মধ্য দিয়েই পুলিশে স্বাভাবিক গতি ফিরে আসবে। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক কাজী মাহফুজুল হক সুপন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, পুলিশকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। পুলিশ আসলে ভয় পাচ্ছে, বিষয়টি এমন নয়; তাদের মধ্যে অভিমান কাজ করছে। অনেকের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। এই চাকরির মাধ্যমে তারা জীবনধারণ করেন। পুলিশ সদস্যদের পরিবার আছে, স্ত্রী-সন্তান রয়েছে। অনেক পুলিশের মৃত্যু হওয়ায় এই অভিমান কাজ করছে। এটি দূর করতে হলে জনসাধারণকে পুলিশের পাশে দাঁড়াতে হবে। বর্তমান পরিস্থিতি থেকে বের হয়ে আসতে সেনাবাহিনীর মাধ্যমে থানা এবং ফাঁড়িগুলোতে টহলের ব্যবস্থা করতে হবে। 

তিনি আরও বলেন, পুলিশ সদস্যরা যে সংস্কার চাচ্ছে তা যৌক্তিক। যখন যে সরকার ক্ষমতায় এসেছে, তখন সেই সরকারই পুলিশকে ব্যবহার করেছে। এর ফলে পুলিশ জনরোষের কবলে পড়েছে। উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশনা পালন না করলে চাকরি হারানোর ভয়; নির্দেশ মেনে গুলি করে জনগণের হাতে লাঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কা। এভাবে একটি বাহিনী কাজ করতে পারে না। 

নাম প্রকাশ না করার শর্তে রাজারবাগের এক পুলিশ সদস্য (নন ক্যাডার) মনে করেন, গত এক যুগে পুলিশ বাহিনীকে সবচেয়ে বেশি বিতর্কিত করে ফেলা হয়েছে। তাই এ বাহিনীর সংস্কার ছাড়া কাজে যোগদান সম্ভব নয়। বর্তমানে পালিয়ে থাকা এই সদস্য মনে করেন, রাষ্ট্রীয় বাহিনী হলেও পুলিশকে জনগণ সদ্য ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের ক্যাডার হিসেবে বিবেচনা করছেন। তাই এ বাহিনীর সঙ্গে সম্পৃক্ত সিংহভাগ বর্তমানে নিরাপদ নয়। দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে তিনি বলেন, সংস্কারটা আমূল হওয়া দরকার, যেমন বিডিআর-এ হয়েছে। পুলিশেও তেমন হতে পারে। এর মধ্যে পোশাক, লোগো এমনকিও নামেও পরিবর্তন আসতে পারে। এটা যত দ্রুত করা হবে, তত তাড়াতাড়ি সবার কাজে যোগদান করা সুবিধা হবে। 

তবে আরেক পুলিশ সদস্য (ক্যাডার) বলেন, এ মূহুর্তে পোশাক বা প্রতীক পরিবর্তনের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ নয়। এটি পরে করা যেতে পারে। এখন নতুন সরকার এবং নাগরিক ও ছাত্র প্রতিনিধিদের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা ও সহযোগিতার আশ্বাস সবচেয়ে বেশি দরকার। প্রধান উপদেষ্টা বা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এ বিষয়ে যত দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন তত দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করবে। তিনি আরও বলেন, পুলিশের সংস্কার বিষয়ে অনেক প্রস্তাব দীর্ঘদিন ধরেই আছে। সেগুলো পর্যালোচনা করে এবং আরও নতুন কিছু বিষয় যুক্ত করে সংস্কার শুরু করতে হবে। এছাড়া মাঠ পর্যায়ে পুলিশিং ও অপরাধ দমন ব্যবস্থাপনায় এমন কিছু শূণ্যতা ও অন্যায্যতা রয়েছে যা সৎ পুলিশিংকে প্রায় অসম্ভব করে রেখেছে। এগুলো দ্রুত পরিবর্তন করতে হবে।

যা করা যেতে পারে

পুলিশ ক্যাডার সার্ভিসে কাজ করা সদস্যরা বলছেন, পুলিশ জনগণের বন্ধু, ধারণা থেকে বের করে পুলিশের সংস্কার করা প্রয়োজন। কাজের ক্ষেত্রে কেউ কারো বন্ধু না। একজন সেবা দাতা, আরেকজন সেবা গ্রহীতা। ‘পুলিশ অপরাধীর শত্রু, ন্যায়ের পথে বলিষ্ঠ, ভালো কাজের সঙ্গী’ এমন ধারণায় পুলিশকে সাজাতে হবে। যখনই পুলিশকে জনগণের বন্ধু ভাববেন তখনই বন্ধুত্বের মাঝে সুযোগ সুবিধা নেওয়ার প্রবণতা তৈরি হবে।

সংশ্লিষ্টদের ভাষ্য, পুলিশের সাথে হয় বর্তমানে প্রচলিত কমিউনিটি পুলিশিং পদ্ধতি বাদ দিতে হবে, না হয় সঠিক পদ্ধতিতে কমিউনিটি পুলিশিং করতে হবে। সেক্ষেত্রে প্রতিটি কমউনিটির প্রত্যেক সামর্থ্যবান ব্যক্তিকে পুলিশের সকল কাজে অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক করতে হবে। তাহলে সমাজে পুলিশের প্রতি ধারণা পাল্টে যেতে পারে। এছাড়াও বর্তমানে শিক্ষার্থী ও স্বেচ্ছাসেবীরা রাস্তায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করছে। প্রতিটি স্কুলের-কলেজের-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের ট্রাফিক পুলিশিংয়ে সহযোগিতা করার জন্য ধাপে ধাপে অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। সামাজিক সেবার আঙ্গিকে এটি হতে পারে। আবার খণ্ডকালীন কাজ হিসেবেও হতে পারে। এতে তারাও ভবিষ্যতে পেশা পছন্দের ক্ষেত্রে এই পুলিশকে প্রাধান্য দেবে। পুলিশ ও জনগণ পরষ্পরের প্রতি সহমর্মিতা বাড়বে ও অপরাধ দমনে সহযোগিতামূলক পরিস্থিতিও তৈরি হবে। 

এর আগে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে বাংলাদেশে পুলিশি সেবাবিহীন এক নজিরবিহীন অবস্থা তৈরি হওয়াতে গত মঙ্গলবার রাতে নতুন আইজিপি হিসেবে ময়নুল ইসলামের নাম ঘোষণা করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। গত বুধবার সকালে আইজিপি হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করে পুলিশকে কাজে ফেরানোর উদ্যোগ নেন ময়নুল। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার মধ্যে পুলিশ সদস্যদের স্ব স্ব ইউনিটে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি। এছাড়াও পুলিশের সকল খোয়া যাওয়া অস্ত্র ও গুলির হিসাব করা, বাহিনীর সদস্যদের সবরকম সমিতি-অ্যাসোসিয়েশনের কার্যক্রম স্থগিত করাসহ ১২ দফা নির্দেশনা দেন তিনি। তবে আইজিপির এই নির্দেশনার পরও কাজে ফেরেনি অধিকাংশ পুলিশ সদস্য। 

দেশের থানা এবং ফাঁড়িগুলোতে পুলিশ না থাকার সুযোগে বিভিন্ন স্থানে চোর-ডাকাতের উপদ্রব এবং ক্ষমতা প্রদর্শনের মাত্রা বেড়ে গেছে। রাজধানীসহ সারাদেশের বিভিন্ন এলাকায় চুরি ও ডাকাতির আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। এ অবস্থায় সাধারণ শিক্ষার্থী এবং এলাকার জনগণ মিলে চুরি-ডাকাতি রোধে রাত জেগে পাহারা দিচ্ছে। রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় দেখা গেছে সাধারণ জনগণ মহল্লার রাস্তায় রাতে সবাই মিলে খাবারের আয়োজন, সাংস্কৃতিক আয়োজন করছে। শিক্ষার্থীরা প্রাইভেট কার, মোটর সাইকেল নিয়ে টহল দিচ্ছে।  

পুলিশ সদস্য সংখ্যা এবং নিয়োগ 
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের তথ্য (গত নভেম্বরে হালনাগাদকৃত) অনুযায়ী, দেশে পুলিশের সদস্য সংখ্যা প্রায় ২ লাখ ১৩ হাজার। ২০০৯-২০২৩ সাল পর্যন্ত ১৫ বছরে বাংলাদেশ পুলিশে মোট ৮৩ হাজার ৭০টি নতুন পদ তৈরি করা হয়। আবার অবসরে যায় অনেকে। এ দেড় দশকে শুধু কনস্টেবল, এসআই ও পুলিশ সার্জেন্ট পদে নিয়োগ দেয়া হয় ১ লাখ ১৯ হাজার ৯১৯ জনকে, যা মোট পুলিশ সদস্যের প্রায় অর্ধেক। 

পুলিশের ১১ দফা দাবিতে যা রয়েছে  

সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে ১১ দফা বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন পুলিশ সদস্যরা। এগুলো হলো-

(১) ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে পুলিশ হত্যাসহ সব পুলিশি স্থাপনায় ধ্বংসযজ্ঞ চালানো ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে। 

(২) নিহত পুলিশ সদস্যদের পরিবারকে এককালীন আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিয়ে আজীবন পেনশন রেশন প্রাপ্তি এবং পরিবারের একজন সদস্যের সরকারি চাকরি নিশ্চিত করা। আহত পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসা এবং গুরুতর আহত পুলিশ সদস্যদের আর্থিক ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করা।
 
(৩) পুলিশের নিয়োগ বিধিমালা বিশেষত সাব ইন্সপেক্টর এবং সার্জেন্ট নিয়োগে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) অধীনে এবং পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের অধীনে কনস্টেবল নিয়োগে শতভাগ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা। 
 
(৪) সাব ইন্সপেক্টর এবং সার্জেন্ট পদে বিদ্যমান পদোন্নতিসংক্রান্ত জটিলতা নিরসন করা। সেক্ষেত্রে পুলিশ পরিদর্শক পদ থেকে সহকারী পুলিশ কমিশনার পদে ৩০ শতাংশ সরাসরি এবং ৭০ শতাংশ পদোন্নতির মাধ্যমে পূরণ এবং সেটি যথাসময়ে নিশ্চিত করা। সাব ইন্সপেক্টর এবং সার্জেন্ট থেকে ইন্সপেক্টর পদে পিএল হওয়ার এক বছরের মধ্যে পদোন্নতি দিতে হবে। এ ছাড়া কনস্টেবল, নায়েক, এটিএসআই, এএসআই পদোন্নতির ক্ষেত্রে পরীক্ষায় পাসকৃতদের পরবর্তী বছর পুনঃপরীক্ষা দেয়ার ব্যবস্থা বাতিল এবং পদোন্নতি দেয়ার ক্ষেত্রে পাসকৃতদের সিনিয়রিটি অনুসরণ করা।
 
(৫) আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী পুলিশের কর্মঘণ্টা কমিয়ে আট ঘণ্টা করা এবং অতিরিক্ত কর্মঘণ্টার জন্য ওভারটাইম দেয়ার ব্যবস্থা করা অথবা বছরের দুটি বেসিকের সমপরিমাণ অর্থ দেয়া।
 
(৬) পুলিশের ঝুঁকি ভাতা বৃদ্ধিকরণ, টিএ/ডিএ বিল প্রতিমাসের দশ তারিখের মধ্যে দেয়া এবং প্রযোজ্য সব সেক্টরে সোর্স মানি নিশ্চিত করতে হবে। 

(৭) পুলিশ সদস্যদের বাৎসরিক ২০ দিন নৈমিত্তিক ছুটি বৃদ্ধি করে অন্যান্য বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে ৬০ দিন করতে হবে। দেশ ও জনগণের স্বার্থে ছুটি দেওয়া সম্ভব না হলে অভোগকৃত ছুটির বিনিময়ে আর্থিক সুবিধা দিতে হবে। 
 
(৮) পুলিশ বাহিনীর প্রচলিত পুলিশ আইন এবং পুলিশ রেগুলেশন অফ বেঙ্গল সংস্কার করে যুগোপযোগী এবং কার্যকরী করতে হবে, যার মাধ্যমে পুলিশ বাহিনীর মর্যাদা এবং অধস্তন কর্মকর্তার কর্মচারীদের অধিকার নিশ্চিত হবে। 
 
(৯) পুলিশ বাহিনীকে যেন কোনো দলীয় সরকার তার রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নে ব্যবহার করতে না পারে সেজন্য স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠন করতে হবে।
 
(১০) পুলিশের সকল থানা, ফাঁড়ি এবং ট্রাফিক বক্স আধুনিকায়ন করতে হবে এবং অধস্তন অফিসারদের জন্য সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।
 
(১১) নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশের অধস্তন কর্মকর্তাদের জন্য আবাসিক ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে এবং সব ব্যারাকে বিদ্যমান আবাসনসংক্রান্ত জটিলতা নিরসন করে ব্যারাকগুলোকে আধুনিকায়ন করতে হবে।


সর্বশেষ সংবাদ