হজে গিয়ে সেলফি-ভিডিও ধারণ, যা বললেন শায়খ আহমাদুল্লাহ

শায়খ আহমাদুল্লাহ
শায়খ আহমাদুল্লাহ  © ফাইল ছবি

পবিত্র হজ পালনে গিয়ে জনসাধারণের সেলফি ও ভিডিও ধারণ নিয়ে তীব্র বিরক্তি প্রকাশ করেছেন ধর্মীয় বক্তা শায়খ আহমাদুল্লাহ। তিনি বলেছেন, হজের সফরে গিয়ে ভিডিও কিংবা সেলফি রীতিমত মহাব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। শনিবার (২২ জুন) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

ফেসবুকে তিনি লিখেন, হজের সকল আনুষ্ঠানিকতায় আমরা এতো বেশি ছবি তুলতে থাকি, যেন ইবাদত নয়, পর্যটনটাই মুখ্য। এতে শুধু নিজের ইবাদতই নষ্ট হয় না, অন্যের ইবাদতেও ব্যাঘাত সৃষ্টি করা হয়। ইবাদত করতে গিয়ে যদি আমাদের পুণ্যের খাতা শূন্যই রয়ে যায়, তবে তার চেয়ে দুর্ভাগ্যের বিষয় আর কি হতে পারে? এই ব্যাধি থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য আপনার একটুখানি সদিচ্ছা ও সচেতনতাই যথেষ্ট।

ছবি-ভিডিও ধারণ নিয়ে তিনি বলেন, স্বপ্নের এই সফরের স্মৃতিকে ধরে রাখার জন্য কাবাঘর কিংবা মসজিদে নববীর দু-একটা ছবি তোলা যেতে পারে। কিন্তু তাওয়াফ, সাঈ, মিনা, মুযদালিফা, আরাফাত, জামারাহ, রওজাহ, বাক্বী কবরস্থান-সব জায়গাতেই ছবি আর ভিডিও যেন পুরো ইবাদতকেই পর্যটনে পরিণত করে দেয়।

‘‘মোবাইলে ছবি ভিডিওতে ব্যস্ত থাকলে ইবাদতের আবেগ বা মনযোগ ধরে রাখা কীভাবে সম্ভব? বরং আশপাশের মানুষের ইবাদতও নষ্টের উপক্রম হয়।’’

তিনি বলেন, বিশেষ করে রাসুলের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কবর যেয়ারতের সময় যেহারে মোবাইলবাজি হয় তা রীতিমত দৃষ্টিকটু ও বিরক্তিকর। মা আয়শা (রাঃ) এর ঘরই তার কবর। সেখানে উঁকিঝুঁকি মারা ও ছবি তোলার চেষ্টাকে অনেক আলিম কারো ঘরে উঁকিঝুকি মারার মতো বিষয় বলে আখ্যায়িত করেছেন। আর সে ঘর যদি হয় নবীপত্নীর তাহলে বিষয়টা কতো বেশি ভয়াবহ!

এদিকে, চলতি বছর পবিত্র হজ পালন শেষে গত বৃহস্পতিবার (২০ জুন) থেকে দেশে ফেরা শুরু করেন হাজিরা। বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বিজি ৩৩২ প্রথম ফিরতি ফ্লাইটের মধ্য দিয়ে দেশে ফেরা শুরু করেন তারা। এই যাত্রায় শনিবার (২২ জুন) রাত ২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত মোট ৩ হাজার ৯২০ জন হাজি দেশে ফিরেছেন। হজযাত্রীদের নিয়ে শেষ ফ্লাইটটি দেশে আসবে আগামী ২২ জুলাই।

 

সর্বশেষ সংবাদ