লায়লাকে ‘ওপরে ওঠার সিড়ির মতো ব্যবহার করেছে’ মামুন

প্রিন্স মামুন ও লায়লা
প্রিন্স মামুন ও লায়লা  © সংগৃহীত

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচিত নাম প্রিন্স মামুন ও লায়লা। সম্প্রতি মদ্যপানে যেতে বাধা দেয়ায় লায়লাকে মারধরের অভিযোগ ওঠে প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে। লায়লার করা ধর্ষণ মামলায় প্রিন্স মামুনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এরপর ওই মামলায় মামুনের রিমান্ড ও জামিন উভয়ই নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। এ বিষয়ে গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মুখ খুলেছেন মামুনের কথিত প্রেমিকা লায়লা।

লায়লা বলেন, ‘প্রথম যেদিন মামুন আমার সঙ্গে কথা বলে সেদিনই ভিডিও কলে তার মায়ের সঙ্গে আমার পরিচয় করিয়ে দেয়। উনি শুরু থেকেই আমাদের সম্পর্কের বিষয়ে জানতেন এবং উনার সম্মতি ছিল। মামুন কোনো দিন সোশ্যাল মিডিয়াতে বলেনি, আমরা ভাইবোন কিংবা বন্ধু। সবসময় বলেছে আমরা ভালোবাসার সম্পর্কে রয়েছি। আমরা সোলমেট।’

লায়লা আরও বলেন, ‘মামুন কোনো দিন সোশ্যাল মিডিয়াতে বলেনি, আমরা ভাইবোন কিংবা বন্ধু। সবসময় বলেছে আমরা ভালোবাসার সম্পর্কে রয়েছি। আমরা সোলমেট।’

স্বেচ্ছায় মামুনকে নিজের ঘরে থাকতে দিয়েছিলেন লায়লা। তবু কেন ধর্ষণের মামলা এ বিষয়ে লায়লা বলেন, ‘আমিতো শুরু থেকে বলছি আমরা একটি ভালোবাসার সম্পর্কের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলাম। মামুনের পরিবার আমাকে মেনে নিয়েছিল। সবাই আমাকে ওর বউ হিসেবেই মেনে নিয়েছিল। কিন্তু বিয়ের কথা উঠলেই দিনের পর দিন নানা অজুহাতে থামিয়ে দেয়া হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি অনেকবার মামুনের বাড়ি গিয়েছি। ওর মা কিংবা আত্মীয়স্বজন এসে আমার বাড়িতে থেকেছে কিন্তু উনাদেরতো সামাজিক দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে উচিত ছিল আমাদের বিয়ে দিয়ে দেওয়ার। কিন্তু তারা তা করেননি। বরং আমাকে ওপরে ওঠার সিঁড়ির মতো ব্যবহার করেছে। এখন আমার মনে হচ্ছে ওদের মনে অন্য কিছু ছিল। ওরা আর্থিক এবং সামাজিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য আমাকে পুরোটাই ব্যবহার করেছে।’

এর আগে ২০২২ সালের ৭ জানুয়ারি প্রিন্স মামুন তার মাকে সঙ্গে নিয়ে লায়লার বাসায় গিয়ে বসবাস করতে থাকেন। বিয়ে না হলেও ওইদিন থেকে মামুন ও লায়লা থাকতেন একই ঘরে। লায়লা বিয়ের বিষয়ে বললে মামুন ক্ষিপ্ত হয়ে বিভিন্ন অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে বাসা থেকে চলে যান।

বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের কথা জানিয়ে রোববার (৯ জুন) প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় একটি মামলা করেন লায়লা।

অভিযোগে লায়লা উল্লেখ করেন, মামলার বিবাদী আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে প্রিন্স মামুনের সঙ্গে আমার গত তিন বছর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয়। পরিচয়ের একপর্যায়ে মামুন আমাকে বিয়ে করবে মর্মে প্রলোভন দেখিয়ে আমার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক স্থাপন করে। সে আমাকে জানায়, তার ঢাকায় থাকার মতো নিজস্ব কোনো বাসা নেই। যেহেতু প্রেমের সম্পর্ক সৃষ্টি হয় এবং মামুন আমাকে বিয়ে করবে বলে জানায়, তাই তার কথা সরল মনে বিশ্বাস করে তাকে আমার বাসায় থাকার অনুমতি দিই।

সর্বশেষ চলতি বছরের ১৪ মার্চ মামুন আবার ধর্ষণ করে। পরবর্তীসময়ে আমি তাকে বিয়ের বিষয়ে বললে সে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। আমাকে বিভিন্ন অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে।


সর্বশেষ সংবাদ