পাসপোর্ট থেকে ‘ইসরায়েল ব্যতীত’ শব্দ মুছে ফেলা দুঃখজনক: সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ৩১ মে ২০২৪, ০৮:০৯ PM , আপডেট: ৩১ মে ২০২৪, ০৮:১৬ PM
বাংলাদেশের ই-পাসপোর্ট থেকে ‘ইসরায়েল ব্যতীত’ (Except Israel) শব্দ দুটি বাদ দেওয়া দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন সিলেট–১ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন। তিনি বলেন, আমি পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকার সময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বা অন্য কেউ তার সঙ্গে কোনো আলোচনা না করেই এ পরিবর্তন করা হয়েছে।
শুক্রবার (৩১ মে) রাজধানীর চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (এফডিসি) ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি আগ্রাসন নিরসনে করণীয় বিষয়ে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত ছায়া সংসদে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
আব্দুল মোমেন বলেন, তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকার সময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বা অন্য কেউ তার সঙ্গে কোনো আলোচনা না করেই এমন (ই-পাসপোর্ট থেকে ‘ইসরায়েল ব্যতীত’ বাদ দেওয়া) পরিবর্তন করা হয়েছে। পাসপোর্টকে আরও মানসম্পন্ন করা এবং খরচ কমানোর জন্য জার্মানির একটি প্রতিষ্ঠান এই কাজটি করেছে বলে আমাকে জানানো হয়েছিল।
সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ফিলিস্তিন ও ইসরায়েল-দুটি পৃথক রাষ্ট্র গঠনের মাধ্যমে বর্তমান সঙ্কটের সমাধান সম্ভব। মুসলিম বিশ্বের অধিকাংশ রাষ্ট্রনায়ক জনতার রায়ে নির্বাচিত নয়। তাই আরব বিশ্ব ফিলিস্তিন ইস্যুতে জোরালো ভূমিকা রাখতে পারছে না। তবে বাংলাদেশের সরকার জনগণের দ্বারা নির্বাচিত।
ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংকট নিরসনে ইসরায়েলের প্রতি পক্ষপাতিত্বকারী দেশগুলোর ওপর আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টি করা, আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে ফিলিস্তিনিদের ওপর বর্বরোচিত হামলার চিত্র তুলে ধরা, শান্তিচুক্তি নিশ্চিত করা, ফিলিস্তিন ও ইসরায়েল উভয়ের জন্য আলাদা স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা, আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকার মানদণ্ড মেনে চলা, যুদ্ধাপরাধ ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের ব্যবস্থা করা, ফিলিস্তিনিদের জন্য পর্যাপ্ত ত্রাণ সহযোগিতা নিশ্চিত করা, অবকাঠামো পুনর্নির্মাণে আন্তর্জাতিক তহবিল গঠনের দাবিও জানানো হয় এই আয়োজন থেকে।
ছায়া সংসদে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী।
‘মুসলিম বিশ্বের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টাই পারে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধ করতে’ শীর্ষক ছায়া সংসদে কবি নজরুল সরকারি কলেজ দলের বিপক্ষে জয়ী হয় স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ দল। প্রতিযোগিতার বিচারক ছিলেন অধ্যাপক আবু মুহাম্মদ রইস, সাংবাদিক মাসুদ করিম, ঝুমুর বারী, এ কে এম মঈনুদ্দিন ও একরামুল হক। প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ী দলকে ট্রফি, ক্রেস্ট ও সনদপত্র দেওয়া হয়।