দেশের আড়াই হাজার স্টার্টআপ ‘১৫ লাখ চাকরির সুযোগ তৈরি করেছে’

  © সংগৃহীত

ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, বাংলাদেশে প্রায় আড়াই হাজার স্টার্টআপ রয়েছে, যা আইসিটি সেক্টরে ১.৫ মিলিয়ন (১৫ লাখ) চাকরির সুযোগ তৈরি করেছে।

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৩ মে) ফ্রান্সের প্যারিসে ইউরোপের সবচেয়ে বড় স্টার্টআপ এবং প্রযুক্তি ইভেন্টে ভিভাটেক নিউজের রিপোর্টার মি. লুক ব্রাউনকে এক সাক্ষাৎকার দেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘উদ্ভাবন ও স্টার্টআপদের জন্য নিবেদিত ভিভাটেক-২০২৪-এ প্রথমবারের মতো অংশ নিয়ে বাংলাদেশের ১২টি স্টার্টআপ বিভিন্ন উদীয়মান প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছে। আমরা এআই, কোয়ান্টাম কম্পিউটিং, মাইক্রোচিপ ডিজাইন এবং সাইবার নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন ফ্রন্টিয়ার প্রযুক্তির সঙ্গে আমাদের স্টার্টআপগুলোকে যুক্ত করার লক্ষ্যে কাজ করছি।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘পনর বছর আগে বাংলাদেশে কোনো ধরনের স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম ছিল না। সেখান থেকে আমরা আমাদের তরুণ উদ্ভাবক এবং উদ্যোক্তাদের উদ্ভাবনী সমাধান নিয়ে আসতে উৎসাহিত করেছি। এছাড়া স্টার্টআপ ক্যাম্পেইন ও এক্সিলারেটর প্রোগ্রাম চালুসহ স্টার্টআপগুলোকে সহজতর করার জন্য স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড প্রতিষ্ঠা করেছি।

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে এবং প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের সঠিক দিক-নির্দেশনায় খুব অল্প সময়ে বাংলাদেশে স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম গড়ে ওঠেছে। বাংলাদেশে প্রায় ২৫০০টি স্টার্টআপ আছে, যা আইসিটি সেক্টরে ১৫ লাখ চাকরির সুযোগ তৈরি করেছে। বাংলাদেশের স্টার্টআপগুলো তাদের উদ্ভাবনী ধারণার মাধ্যমে স্থানীয় সমস্যার সমাধান করছে।

লুক ব্রাউনের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, ‘গত ১৫ বছরে ১৩০ মিলিয়ন (১৩ কোটি) ব্যবহারকারীকে ইন্টারনেট অ্যাক্সেস দিতে সক্ষম হয়েছি আমরা। আইসিটি খাতে রফতানি আয় ২৬ মিলিয়ন (২.৬ কোটি) ডলার থেকে ২.০ বিলিয়ন (২০০ কোটি) ডলারে উন্নীত হয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় ৭ লাখ সক্রিয় আইটি ফ্রিল্যান্সার রয়েছে, যারা বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে কাজ করছে। দেশের প্রায় ২,৫০০টি সরকারি পরিষেবা ডিজিটাইজ এবং ৫২,০০০ ওয়েবসাইট তৈরি করা হয়েছে।’

এছাড়াও প্রতিমন্ত্রী জানান, ‘বাংলাদেশের স্কুল ও কলেজে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন কম্পিউটার ল্যাব এবং স্কুল অব ফিউচার স্থাপন করা হয়েছে। সেখানে দেশের তরুণ-তরুণীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করা হচ্ছে। এ সাফল্যের ওপর ভিত্তি করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার 'ভিশন ২০৪১: স্মার্ট বাংলাদেশ' বাস্তবায়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি আমরা।’


সর্বশেষ সংবাদ