জামিন পেলেন না সেই দুই শিশুর মা

  © সংগৃহীত

নাশকতার অভিযোগে বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় করা মামলায় হাফসা আক্তারের জামিন স্থগিতই রেখেছেন আদালত। আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতের দেওয়া হাফসার জামিন স্থগিতাদেশ বহাল রেখে আদেশ দেন।

সোমবার (২২ এপ্রিল) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন। চেম্বার আদালতের দেওয়া স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার চেয়ে হাফসার করা জামিন আবেদন নাকচ করেন আদালত।

এর আগে গত ৬ মার্চ হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ রুল দিয়ে কারাগারে থাকা হাফসাকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন। এই আদেশের বিপরীতে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করলে ১০ মার্চ হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ আট সপ্তাহের জন্য স্থগিত করা হয়। এরপর পাল্টা বিবাদী পাল্টা আবেদন করলে আজ শুনানির জন্য ওঠে।

প্রসঙ্গত, নাশকতার মামলায় গ্রেফতারের পর গত বছরের ২৭ নভেম্বর থেকে কারাগারে আছেন হাফসা। গত ২৯ নভেম্বর রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে একটি মানববন্ধন হয়েছিল। সেদিন মানববন্ধনে এসেছিল এই দুই শিশু নূরজাহান ও আকলিমা। ব্যানারে আয়োজক হিসেবে লেখা ছিল, ‘রাজবন্দীদের স্বজন’।

দুই শিশুর বাবা আবদুল হামিদ ভূঁইয়া বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। দুই শিশুর দাদা আবদুল হাই ভূঁইয়া মানববন্ধনে অভিযোগ করে বলেছিলেন, তার বড় ছেলে হামিদকে না পেয়ে ছেলের স্ত্রী হাফসাকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে তিন দিনের রিমান্ডেও নেওয়া হয়। অথচ হাফসা কোনো ধরনের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নন।


নাশকতার অভিযোগে গত ২০ নভেম্বর কোতোয়ালি থানায় ওই মামলা করে পুলিশ। মামলায় গ্রেপ্তারের পর গত বছরের ২৭ নভেম্বর থেকে কারাগারে আছেন হাফসা। এই মামলায় ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে জামিন চেয়ে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি বিফল হন তিনি। পরে জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন, যার শুনানি নিয়ে ৬ মার্চ হাইকোর্ট রুল দিয়ে হাফসাকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছিলেন।

গত ২৯ নভেম্বর রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘রাজবন্দীদের স্বজন’ ব্যানারে একটি মানববন্ধন হয়। সেদিন মানববন্ধনে আসে হাফসার দুই সন্তান। তাদের বয়স যথাক্রমে চার ও সাত বছর, যার মধ্যে দিয়ে তারা আলোচনায় আসে। এই দুই শিশুর বাবা আবদুল হামিদ ভূঁইয়া বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। দুই শিশুর দাদা আবদুল হাই ভূঁইয়া মানববন্ধনে অভিযোগ করে বলেছিলেন, তাঁর বড় ছেলে আবদুল হামিদ ভূঁইয়াকে পুলিশ খুঁজছে। না পেয়ে ছেলের স্ত্রী হাফসাকে তুলে নিয়ে যায়। তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে তিন দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। অথচ হাফসা রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নন।

 

সর্বশেষ সংবাদ