খতনা করাতে গিয়ে শিশুর পুরুষাঙ্গ বিচ্ছিন্ন

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে ১১ বছরের এক শিশুর খতনা করতে গিয়ে পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলেছেন হাজাম (যিনি খতনা করেন)। ঘটনার পর আহত শিশুটিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসকরা তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন।

শিশুর পরিবারের পক্ষ থেকে হাজামের বিরুদ্ধে এখনো কোনো আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তবে গ্রামের বাসিন্দা হাজাম মো. আকবর আলী (৪৮) যাতে পালিয়ে যেতে না পারেন, সে জন্য তাঁকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে।

স্থানীয় ও পরিবারের লোকজন সূত্রে জানা যায়, খতনা করার উপলক্ষ্যে রোববার বাড়িতে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। শিশুটিকে গোসল করিয়ে হাজামের কাছে নিয়ে একটি ছোট খাটিয়ার ওপর বসানো হয়। হাজাম মো. আকবর তার কাজ শুরু করার সময় শিশুটি চিৎকার দিয়ে ওঠে। চিৎকার শুনে ঘটনাস্থলে ছুটে যান পরিবারের সদস্যরা। গিয়ে দেখেন, খতনা করানোর সময় হাজাম আকবর শিশুর যৌনাঙ্গ গোড়া থেকে কেটে ফেলেছেন। যন্ত্রণায় শিশুটি কাতরাচ্ছে।

ব্যাপক রক্তক্ষরণ শুরু হওয়ার পর শিশুটিকে প্রথমে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। কিন্তু সেখানে যৌনাঙ্গ জোড়া দেওয়ার মতো চিকিৎসক না থাকায় শিশুটিকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।

সোমবার শিশুটির মামা মেহেদি হাসান বলেন, ‘শল্যচিকিৎসার মাধ্যমে যৌনাঙ্গ জোড়া দেওয়া হয়েছে। তবে তা সফল হয়েছে কি না, এখনো বোঝা যাচ্ছে না। আমরা অপেক্ষা করছি। চিকিৎসার সফলতার ওপর নির্ভর করছে গ্রাম্য হাজাম আকবরের আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি।’

অভিযুক্ত আকবর আলী (হাজাম) গোপনাঙ্গ কাটার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, আমি ভুলে ওই শিশুর গোপনাঙ্গ কেটে ফেলেছি।

ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাজেদুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


সর্বশেষ সংবাদ