বিয়ের ৭ বছর পর ৬ সন্তান জন্ম দিলেন সুমনা, বাঁচলো না কেউই
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১১ এপ্রিল ২০২৪, ১০:১৭ PM , আপডেট: ১১ এপ্রিল ২০২৪, ১০:১৯ PM
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে কুমুদিনী হাসপাতালে ঈদের দিন সুমনা আক্তার (২৬) নামে এক প্রবাসীর স্ত্রী একসঙ্গে ৬ সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। ছয় সন্তানের মধ্যে চারজন মেয়ে ও দুজন ছেলে। তবে ৭ বছর পর সন্তান জন্ম দিয়েও কোনো সন্তানকেই বাঁচানো যায় নি। জন্মের মাত্র ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই তারা মারা যায়।
বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) ঈদের দিন দুপুর ১২টার দিকে কুমুদিনী হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে—এই ৬ সন্তানের জন্ম হয়। একসঙ্গে ৬ সন্তান জন্মদানের বিরল ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
প্রসূতি সুমনা আক্তার উপজেলার বহুরিয়া ইউনিয়নের কালমেঘা কড়ইচালা এলাকার প্রবাসী ফরহাদ মিয়ার স্ত্রী। বহুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সরকার নূরে আলম মুক্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
কুমুদিনী হাসপাতালের এজিএম (অপারেশন) অনিমেশ ভৌমিক লিটনের দাবি, নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে ৬ সন্তান হয়েছিল। অপরিপক্ক থাকায় মাতৃগর্ভেই তাদের মৃত্যু হয়। তবে প্রসূতি মা এখন পুরোপুরি সুস্থ।
প্রবাসী ফরহাদ মিয়ার মামা শাহজাহান জানান, ভাগনের স্ত্রী সুমনা প্রায় ৫ মাসের গর্ভবতী ছিল। ঈদের দিন সকালে পেটে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করলে দ্রুত তাকে সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। সুমনার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগের ৭ নম্বর বেডে চিকিৎসা শুরু হয়। সেখানে চিকিৎসকরা ছয়টি সন্তানের নরমাল প্রসব করান। ৬ সন্তানের মধ্যে ৪ জন মেয়ে ও ২ জন ছেলে সন্তান। তবে কোনো সন্তানই বেঁচে নেই। পরে বিকেলের দিকে ৬ সন্তানকে বাড়িতে আনা হলেও তাদের মা এখনো হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে।
৬ সন্তান জন্ম দেওয়া মা সুমনা আক্তার জানান, সখীপুরে একটি ক্লিনিকে আল্ট্রাসনোগ্রাম করিয়েছিলাম। তখন চিকিৎসক ৪ সন্তানের কথা বলেছিলেন। তখন সব সন্তানই ভালো ছিল। পরে ব্যথা নিয়ে কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর নরমাল ডেলিভারীতে ৬ সন্তান জন্ম হয়েছে। কপাল খারাপ তাই সন্তানগুলো কেউ বেঁচে নেই।
কুমুদিনী হাসপাতালের এজিএম (অপারেশন) অনিমেষ ভোমিক লিটন জানান, ওই নারী প্রসব ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। পরে নরমালভাবে ৬ সন্তানের জন্ম হয়। সময়ের অনেক আগেই সন্তান জন্ম হওয়ায় কাউকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। ওই নারী এখনো হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।