ঈদের নামাজ যেভাবে পড়বেন
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১০ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৩৩ PM , আপডেট: ১০ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:০৪ PM
দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পর বিদায় নিতে যাচ্ছে পবিত্র মাহে রমজান। আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) দেশে উদযাপিত হবে পবিত্র ঈদুল ফিতর। ঈদ মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসবের একটি। মুসলিম উম্মাহ প্রতি বছর দু’টি ঈদ উদযাপন করে থাকে।
ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বছরে দুই বার ঈদের নামাজ পড়ার কারণে আমরা অনেকেই নামাজ পড়ার নিয়ম ভুলে যাই।
আরও পড়ুন: হিজরী যে সন থেকে ঈদুল ফিতর উদযাপন শুরু হয়
ছাদবিহীন খোলা জায়গায় ঈদের নামাজ পড়া সুন্নাত। নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উন্মুক্ত স্থানে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন। তবে যদি ঈদের নামাজ পড়ার জন্য খোলা স্থান না থাকে তবে মসজিদ কিংবা ছাউনি বিশিষ্ট স্থানেও নামাজ পড়া যাবে। আবার প্রকৃতিক দুর্যোগেও বৃষ্টি প্রতিরোধক ছাউনিযুক্ত স্থানে ঈদের নামাজ পড়া যাবে।
ঈদের নামাজের পদ্ধতি স্বাভাবিক নামাজের মতো নয়। যেমন—ঈদের দুই রাকাত নামাজের কোনো আজান, ইকামত নেই। এতে অতিরিক্ত ছয়টি বা তার বেশি তাকবির রয়েছে। সেগুলো আদায়ের নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে।
ঈদের নামাজ আদায় পদ্ধতি:
১। প্রথমত, স্বাভাবিক নামাজের মতোই তাকবিরে তাহরিমা বলে হাত বাঁধবেন। তারপর ছানা পাঠ করবেন। (সুবহানাকা আল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা ওয়া তাবারাকাসমুকা ওয়াতাআলা যাদ্দুকা ওয়া লা ইলাহা গাইরুকা।)
২। তারপর অতিরিক্ত তিনটি তাকবির বলবেন। প্রথম দুই তাকবিরে হাত তুলে ছেড়ে দেবেন এবং তৃতীয় তাকবিরে হাত বেঁধে ফেলবেন।
৩। তারপর আউজুবিল্লাহ ও বিসমিল্লাহ পড়ার পর ইমাম সুরা ফাতিহা পড়ে এর সঙ্গে অন্য একটি সুরা মেলাবেন।
৪। তারপর স্বাভাবিক নামাজের মতোই রুকু-সিজদা করে প্রথম রাকাত শেষ করবেন।
আরও পড়ুন: সাদাকাতুল ফিতর কখন কার ওপর কতটুকু পরিমাণ ওয়াজিব
৫। দ্বিতীয় রাকাতে ইমাম কিরাত পড়া শেষে রুকুতে যাওয়ার আগে অতিরিক্ত তিন তাকবির দেবেন। প্রতি তাকবিরের সঙ্গে হাত উঠাবেন এবং ছেড়ে দেবেন। তারপর চতুর্থ তাকবির বলে রুকুতে চলে যাবেন।
৬। তারপর স্বাভাবিক নামাজের মতোই নামাজ শেষ করবেন।
৭। নামাজের সালাম ফেরানোর পর তাকবির পড়া- اَللهُ اَكْبَر اَللهُ اَكْبَر لَا اِلَهَ اِلَّا اللهُ وَاللهُ اَكْبَر اَللهُ اَكْبَروَلِلهِ الْحَمْد (উচ্চারণ : ‘আল্লাহু আকবর, আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবর ওয়া লিল্লাহিল হামদ।’)
৮। নামাজ শেষে ইমাম মিম্বারে উঠবেন। দুটি খুতবা দেবেন। এ সময় ইমামের খুতবা মনোযোগসহকারে শুনতে হবে। কোনো ধরনের কথা বলা বা অন্য কাজে ব্যস্ত হওয়া যাবে না।
ঈদুল ফিতরের নামাজের ধরা বাঁধা কোনো নিয়ত নাই। মনে মনে এটা ভাবলেই হবে—ইমামের পেছনে কেবলামুখী হয়ে ঈদুল ফিতরের দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ আদায় করছি।
অতিরিক্ত তাকবিরের ক্ষেত্রে অন্যান্য মাজহাবসহ অনেকেই প্রথম রাকাতে তাকবিরে তাহরিমাসহ ৭ তাকবির আর দ্বিতীয় রাকাআতে ৫ তাকবির দিয়ে থাকেন। যদি কেউ অতিরিক্ত ৬ তাকবির দেয় কিংবা অতিরিক্ত এগারো তাকবির দেয় তাতে নামাজের অসুবিধা হবে না বরং নামাজ হয়ে যাবে।