নেত্রকোনায় অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

প্রাইম ডিজিটাল ইনস্টিটিউট (বিএম কলেজ)
প্রাইম ডিজিটাল ইনস্টিটিউট (বিএম কলেজ)  © সংগৃহীত

নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার রামপুর বাজার সংলগ্ন প্রাইম ডিজিটাল ইনস্টিটিউটে (বিএম কলেজ) আয়া পদে চাকরি দেওয়ার কথা বলে প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ মুছলেহার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী স্থানীয় রামনগর গ্রামের আব্দুল মজিদের স্ত্রী আয়শা খাতুন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন। 

অভিযোগের বরাতে জানা গেছে, ২০১৪ সালে আয়শা খাতুনকে আয়া পদে চাকরি দেওয়ার কথা বলে কাজে যোগদান করান প্রাইম ডিজিটাল ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ মুছলেহা। একপর্যায়ে নিয়োগ সম্পন্ন করার কথা বলে অধ্যক্ষ আয়শা খাতুনের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদি নেন এবং এক লাখ টাকা দাবি করেন। পরে তিনি ধারদেনা করে অধ্যক্ষকে ৬০ হাজার টাকা দেন এবং বাকী টাকা কিছু দিন পরে দিবেন বললে অধ্যক্ষ তা মেনে নেন। এদিকে গত ৬ মাস আগে হঠাৎ করে আয়শা খাতুনকে কাজে না আসার জন্য নিষেধ করেন অধ্যক্ষ মুছলেহা। নিষেধ করার কারণ জানতে চাইলে অধ্যক্ষ আয়শা খাতুনকে বলেন, বয়স বেশি হয়ে গেছে। তাই আয়া পদে নিয়োগ হবে না। এ সময় অধ্যক্ষ মুছলেহা তাকে দুশ্চিন্তা করতে নিষেধ করেন এবং তার ভবিষ্যৎ গড়ে দিবেন বলেও প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু সম্প্রতি আয়শা খাতুন অধ্যক্ষের সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে তিনি তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ দুর দুর করে তাড়িয়ে দেন। 

আয়শা খাতুন বলেন, আমার কোনো সন্তানাদি নাই। স্বামী আরেক বিয়ে করে সংসার করছে। আমি বর্তমানে খুবই একা ও অসহায়। চাকরি পাওয়ার আশায় ৯ বছর বিনা বেতনে কাজ করেছি। ধারদেনা করে ৬০ হাজার টাকাও দিয়েছি। এখন তারা আমাকে হঠাৎ কলেজ থেকে বের করে দিয়েছে। অনেক টাকার বিনিময়ে আমার পরিবর্তে আরেকজনকে নিয়েও নিয়েছে। আমার সাথে অধ্যক্ষ মুছলেহা প্রতারণা করেছে। তাই আমি গত ২৭ মার্চ ইউএনও স্যারের কাছে অভিযোগ দিয়েছি। ৯ বছর বিনা বেতনে কাজ করার ক্ষতিপূরণসহ আমি আমার ৬০ হাজার টাকা ফেরত চাই।

স্থানীয় বাসিন্দা শামছুল আলম তমাল ও আজিবুর রহমান বলেন, আমরা জানি আয়শা খাতুন দীর্ঘ বছর যাবত প্রাইম ডিজিটাল ইনস্টিটিউটে আয়া পদে চাকরি করেন। কিন্তু এখন শুনছি তাকে নাকি চাকরি না দিয়ে কলেজ থেকে বের করে দিয়েছে। বিষয়টা ঠিক হয়নি। এটা খুবই অমানবিক।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে অধ্যক্ষ মুছলেহা বলেন, আয়শা খাতুনের কাছ থেকে কোনো টাকা নেইনি এবং তার বয়স বেশি হওয়ায় আয়া পদে নিয়োগ হবে না- এটা আমি তাকে শুরুতেই বলেছি। তাকে যতদিন কাজ করিয়েছি, বিনিময়ে টাকাও দিয়েছি। তবুও তিনি আমার বিরুদ্ধে অহেতুক মিথ্যা অভিযোগ করছেন। 

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ইমদাদুল হক তালুকদার বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে আমি নিজেই তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।


সর্বশেষ সংবাদ