সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন তিশা-মুশতাক দম্পতি, জানাবেন ‘এক্সক্লুসিভ’ তথ্য
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০২ মার্চ ২০২৪, ১১:৩৮ AM , আপডেট: ০২ মার্চ ২০২৪, ১১:৪৪ AM
বাবা সাইফুল ইসলামকে কয়েকদিন আগে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন দেশজুড়ে আলোচিত সিনথিয়া ইসলাম তিশা। এ বিষয়ে ‘এক্সক্লুসিভ’ তথ্য জানাতে সংবাদ সম্মেলনের ডাক দিয়েছেন আলোচিত তিশা-মুশতাক দম্পতি।
শনিবার (২ মার্চ) বিকেলে গুলশান-১ নম্বরের একটি বাড়িতে এই দম্পতি সংবাদ সম্মেলন করবেন বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন তাদের পক্ষে থাকা বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী খন্দকার হাসান শাহরিয়ার।
গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে আলোচিত দম্পতি সিনথিয়া ইসলাম তিশা এবং খন্দকার মুশতাক আহমেদের পক্ষে বিগত ২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ তারিখে অ্যাডভোকেট হাসান অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটসের স্বত্বাধিকারী ও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী খন্দকার হাসান শাহরিয়ার বিটিআরসির চেয়ারম্যান এবং সিনথিয়া ইসলাম তিশার বাবা সাইফুল ইসলামকে লিগ্যাল নোটিশ প্রেরণ করেন।
কেন সেই লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হলো সে বিষয়ে বিস্তারিত জানানোর পাশাপাশি সাইফুল ইসলামের বিষয়ে ‘এক্সক্লুসিভ’, অজানা তথ্যাদি জানানোর জন্য আজ ২ মার্চ, ২০২৪ ইং ফুড প্যালেস, বাড়ি নম্বর- এসডব্লিউএফ ৪/এ, রোড নম্বর- ১, গুলশান-১ (ড. ফজলে রাব্বি পার্কের উত্তর অংশে নিকেতন গেট-১ এর কাছে বিকেল ৪টায় একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।
এর আগে গত ২৯ ফেব্রুয়ারি তার স্বামী খন্দকার মুশতাক আহমেদ ও তাকে জড়িয়ে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য না দিতে বাবাসহ বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) বরাবর রেজিস্ট্রি ডাকযোগে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান তিশা।
ওই নোটিশে তিশা-মুশতাকের আইনজীবী উল্লেখ করেন, সিনথিয়া ইসলাম তিশা ও খন্দকার মুশতাক আহমেদ দম্পতির স্বাভাবিক জীবনযাপন ব্যাহত করার পাশাপাশি তাদের সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করে মানহানি করা হচ্ছে। যা প্রচলিত আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
একইসঙ্গে কোনো প্রকার লিখিত অনুমতি ছাড়া খন্দকার মুশতাক আহমেদের ছেলে ও মেয়ে, প্রাক্তন স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যদের ছবি, ভিডিও নিয়ে অসত্য, মিথ্যা, ভিত্তিহীন, বানোয়াট তথ্যাদি সোশ্যাল মিডিয়া এবং ইলেকট্রনিক, প্রিন্ট ও অনলাইন গণমাধ্যমে পরিবেশন, প্রকাশ, সম্প্রচার তথা প্রচারণা করে প্রচলিত আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করা হচ্ছে। যা কোনোভাবেই কাম্য নয় বলে উল্লেখ করা হয় ওই নোটিশে।
এছাড়া লিগ্যাল নোটিশ প্রাপ্তির সাত দিনের মধ্যে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার পাশাপাশি তিশা-মুশতাক দম্পতি সম্পর্কে আদালতে বিচারাধীন বিষয়ে সামাজিক মাধ্যম এবং ইলেকট্রনিক, প্রিন্ট ও অনলাইন গণমাধ্যমে অসত্য, মিথ্যা, ভিত্তিহীন, বানোয়াট তথ্যাদি পরিবেশন থেকে সম্পূর্ণভাবে বিরত থাকতেও তিশার বাবাকে অনুরোধ জানানো হয়।