অগ্নিকাণ্ড রোধে রাজউক ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সতর্ক হওয়া উচিত: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০২ মার্চ ২০২৪, ১১:১৫ AM , আপডেট: ০২ মার্চ ২০২৪, ১১:২০ AM
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, রাজউক (রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ) ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়কে আরও বেশি সতর্ক হওয়া উচিত। এ ধরনের ঘটনা রোধে এই দুই প্রতিষ্ঠানকে ব্যবস্থা নিতে হবে। সামান্য একটা ভুলের জন্য ৪৫টা প্রাণ চলে গেল, এর থেকে মর্মান্তিক আর কিছু হতে পারে না। আমি মনে করি, এর বিরুদ্ধে অভিযান চলা উচিত।
শনিবার (০২ মার্চ) সকালে ঢাকার একটি অভিজাত হোটেলে বাংলাদেশ মেডিসিন সোসাইটি আয়োজিত ২৩তম আন্তর্জাতিক সায়েন্টিফিক সেমিনারে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় হাসপাতালে সব ধরনের অনিয়ম বন্ধে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অভিযান চলবে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমি বাংলাদেশের সব হাসপাতাল বন্ধ করার পক্ষে না। কিন্তু হাসপাতালগুলোকে নিয়ম মেনে চলতে হবে। ইচ্ছা করলেই অনিয়ম করে আর হাসপাতাল খোলা যাবে না। অভিযান লাগাতার চলবে।
আরও পড়ুন: স্ট্যামফোর্ডের দুই ছাত্রীর পর এবার জানা গেল জুনায়েদের মৃত্যুর খবর
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাত পৌনে ১০টার দিকে রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ নামের ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এ পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া গুরুতর আহত হয়েছেন অন্তত ২২ জন। আহতরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, শেখ হাসিনা বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট এবং রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আহতদের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
ভয়াবহ এ অগ্নিকাণ্ডে প্রাণহানির ঘটনায় মামলা করা করেছে। শুক্রবার (১ মার্চ) দিবাগত রাতে রমনা থানা পুলিশ বাদী হয়ে করা ওই মামলায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করা হয়েছে। এর আগে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ভবনটিতে অবস্থিত চায়ের চুমুকের দুই মালিক ও কাচ্চি ভাইয়ের ম্যানেজারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তথ্য জানতে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে আরও কয়েকজনকে।
এদিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক ইনস্টিটিউট এবং র্যাবের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যারা মারা গেছেন তাদের বেশিরভাগেরই ‘এক্সটার্নাল বার্ন’ কম ছিল। এ অবস্থায় মৃতদের অধিকাংশই কার্বন মনোক্সাইডের বিষক্রিয়ায় নিহত হয়েছেন।