চালু হলো টেলিটকের ই-সিম, একসাথে ব্যবহার করা যাবে যত ই-সিম

  © সংগৃহীত

মহান শহীদ দিবসে ই-সিমের যুগে প্রবেশ করল রাষ্ট্রীয় মোবাইল অপারেটর টেলিটক। শহীদ দিবস উপলক্ষে বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) এই সেবার উদ্বোধন করেন ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আইসিটি টাওয়ারে ই-সিম সেবার উদ্বোধন করেন ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে উচ্চারণ, কথা ও বর্ণ নামে সেবাভিত্তিক আলাদা ৩টি অ্যাপ চালু করেন জুনাইদ আহমেদ পলক।

প্রসঙ্গত, ই-সিম হলো ভার্চুয়াল বা এম্বেডেড সিম। প্রচলিত ব্যবস্থায় হ্যান্ডসেটে সিম ঢুকিয়ে কোনো অপারেটরের নেটওয়ার্কে সংযুক্ত হতে হয়। তবে ই-সিম হ্যান্ডসেটের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত থাকে।
 
২০২২ সালের মার্চে দেশে প্রথমবারের ই-সিম চালু করে গ্রামীণফোন। এরপর এই সেবা চালু করেছে রবি ও বাংলালিংক। এবার বেসরকারি অপারেটর পথ অনুসরণ করে মহান শহীদ দিবসে ই-সিম চালু করল টেলিটক।
  
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ই-সিম হলো এমবেডেড সাবস্ক্রাইবার আইডেন্টিটি মডিউল। এটি ফিজিক্যাল সিম কার্ডের মতো নয়। এটি ফোনে ইনস্টল করা ভার্চুয়াল সিম, যেটি কোনো মোবাইল অপারেটরের মাধ্যমে তৃতীয় পক্ষীয় সফটওয়্যারের সহায়তায় মোবাইল নম্বর বরাদ্দপূর্বক অনলাইনে সক্রিয় করা হয়। ই-সিমের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো, বারবার খোলার ঝামেলাই যেহেতু নেই, তাই এ সিম নষ্ট হওয়ারও আশঙ্কা নেই। এ ছাড়া একই সঙ্গে একাধিক নম্বর ব্যবহার করা যায়। ব্র্যান্ডভেদে একসঙ্গে এক ফোনে পাঁচটি পর্যন্ত ই-সিম ব্যবহার করা যায়।’
 
প্রযুক্তিবিদরা বলছেন, ২০২৫ সালের মধ্যে বিশ্বজুড়ে ই-সিমের ব্যবহার বেড়ে হবে ৩ দশমিক ৪ বিলিয়ন।
 
এক বিজ্ঞপ্তিতে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ভাষাশহীদ স্মরণে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন বাংলা ভাষাভিত্তিক তিনটি সফটওয়্যার বাংলা টেক্সট টু স্পিচ ‘উচ্চারণ’, বাংলা স্পিচ টু টেক্সট ‘কথা’ এবং বাংলা ওসিআর ‘বর্ণ’সহ নতুন একটি বাংলা ফন্ট ‘পূর্ণ’ উন্মুক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া অমর একুশের ভাষাশহীদদের স্মরণে বিটিসিএলের ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যান্ডউইডথ জিপনের বিশেষ সাশ্রয়ী প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন ও টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের ই-সিম উদ্বোধন করেন প্রতিমন্ত্রী।


সর্বশেষ সংবাদ