বাংলাদেশের স্বাস্থ্যশিক্ষায় কাজে আগ্রহ ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:৩৬ AM , আপডেট: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০১:০০ AM
যুক্তরাষ্ট্রের ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও বায়োমেডিক্যাল গবেষণায় যৌথ উদ্যোগ গ্রহণে গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেছে। শুক্রবার (২ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরীর সঙ্গে ব্রাউন ইউনিভার্সিটি ক্লাবে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের আলপার্ট মেডিকেল স্কুলের ডিন ড. মুকেশ জৈন ও অন্যান্য নেতারা এ আগ্রহ ব্যক্ত করেন।
আলোচনায় ড. কামাল চৌধুরী বাংলাদেশের স্বাস্থ্যশিক্ষা ও বায়োমেডিক্যাল গবেষণায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের বিশেষ উদ্যোগ ও কার্যক্রম উপস্থিত সবাইকে অবহিত করেন। ড. কামাল চৌধুরীর সম্মানে আয়োজিত এই সভায় ডিন অধ্যাপক মুকেশ জৈনর সঙ্গে ছিলেন ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষস্থানীয় নেতারা। তারা হলেন- হৃদ্রোগ গবেষণার পরিচালক ড. রুহুল আবিদ, গ্লোবাল হেলথের প্রধান ড. এডাম লেভিন, ড. সুসান কুভিন, ট্রান্সলেশনাল গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক ড. শ্যারন রাউন্ডস ও প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. ভারত রামরত্নম।
আরও পড়ুন: এবার সৌদি আরবে চিকিৎসক পাঠাচ্ছে বাংলাদেশ
আলোচনায় ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল স্কুলের নেতারা ও ডিন ড. মুকেশ জৈন বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাত এবং কোভিড মহামারি নিয়ন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গৃহীত ব্যবস্থা ও অর্জনের ভূয়সী প্রশংসা করেন। ডিন জৈন ও ড. আবিদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ উদ্যোগ কমিউনিটি ক্লিনিক জাতিসংঘ থেকে সম্মানিত হওয়ায় ব্রাউন বিদ্যালয়ের মেডিকেল স্কুল গত সেপ্টেম্বর মাসে তাকে বিশেষ সম্মাননা প্রদানের স্মৃতিচারণ করেন।
তারা জানান, সে সময় সংক্ষিপ্ত আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী তাদের প্রস্তাবের আলোকে ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে বাংলাদেশের ছাত্র-শিক্ষক-গবেষক বিনিময় ও যৌথ গবেষণায় আগ্রহ ব্যক্ত করেছেন। আগামীতে তারা ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং ঢাকায় ব্রাউন-বাংলাদেশ যৌথ সেমিনার আয়োজন করতে আগ্রহী।
সভায় তারা জানান, ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহায়তায় বাংলাদেশের কয়েকটি জেলায় কাজ করছে। ইতোমধ্যে জরায়ুমুখের ক্যান্সার নির্ণয়ের আধুনিক ডিজিটাল পদ্ধতি প্রবর্তন, ইলেক্ট্রনিক হেলথ রেকর্ড পদ্ধতির মাধ্যমে কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে উপজেলা ও জেলা হাসপাতাল পর্যায়ে উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস রোগীদের মেডিক্যাল ডাটা বিনিময় এবং শিশুদের ডায়ারিয়াজনিত চিকিৎসা গবেষণার কাজে তারা সহায়তা করেছে।