মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে ৬ জেলায়, শীত বাড়ার আভাস

মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে ৬ জেলায়
মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে ৬ জেলায়  © সংগৃহীত

রাজধানীসহ সারাদেশে বইছে শৈত্যপ্রবাহ। দেশের বিভিন্ন এলাকায় বেড়েছে শীতের তীব্রতা। শৈত্যপ্রবাহের কারণে রাত থেকে সকাল অবধি ঘন কুয়াশায় আচ্ছাদিত থাকছে পথঘাট। আকাশে সূর্যের আলোর দেখা মিললেও কিছু সময় পর তা মেঘে ঢেকে যায়। উষ্ণতা পেতে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, দেশের ছয় জেলায় আজ শৈত্যপ্রবাহ বইছে।

রোববার (২১ জানুয়ারি) সকাল ৯টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দেশের ৬ জেলায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এসব জেলার তাপমাত্রা নয় থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রয়েছে। জেলাগুলো হচ্ছে- কিশোরগঞ্জ, রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, পঞ্চগড় ও কুড়িগ্রাম। 

আবহাওয়া অফিস জানায়, আগামী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। তবে, মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারী থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং তা কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। 

আবহাওয়া পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়, দেশের উত্তর-উত্তরপূর্বাঞ্চলে রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমে যেতে পারে। ২২ জানুয়ারি অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। সারাদেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। এছাড়া আগামী পাঁচদিনের প্রথমার্ধে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

এদিন কিশোরগঞ্জের নিকলী ও পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ১০ ডিগ্রি ও কুড়িগ্রামে ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। নওগাঁর বদলগাছীতে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। 

এদিকে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে যাওয়ায় রাজশাহী, কুড়িগ্রাম ও জয়পুরহাটের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আজ রোববার ও আগামীকাল সোমবার (২১ ও ২২ জানুয়ারি) বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। 

আরও পড়ুন: জয়পুরহাটের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ২ দিন বন্ধ ঘোষণা

গত মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নেমে এলে প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছিল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (বিদ্যালয়-২) মোহাম্মদ কবির উদ্দীন স্বাক্ষরিত আদেশে এ নির্দেশনা দেয়া হয়।

এতে বলা হয়, চলমান এ শৈত্যপ্রবাহে শিক্ষার্থীদের শিক্ষার স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে। যেসব জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে যাবে, আঞ্চলিক উপ-পরিচালকরা ওইসব জেলার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনা করে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম শীতের তীব্রতা ও স্থানীয় বাস্তবতা বিবেচনায় নিয়ে সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার নির্দেশ দিতে পারবেন।


সর্বশেষ সংবাদ