ভোট দিলেন সাকিব আল হাসান

ভোট দিলেন সাকিব আল হাসান
ভোট দিলেন সাকিব আল হাসান   © সংগৃহীত

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটার ও মাগুরা-১ আসনের নৌকার প্রার্থী সাকিব আল হাসান দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন। ভোট শেষে ভোটারদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন, কথা বলেন মিডিয়ার সঙ্গেও। সকলকে নির্ভয়ে কেন্দ্রে এসে ভোট প্রদানের আহ্বানও জানান তিনি। 

রোববার (৭ জানুয়ারি) সকাল ৮টার দিকে সকাল ৮টায় মাগুরা-১ আসনের দরিমাগুরা স্কুল কেন্দ্রে ভোট দেন তিনি। ভোট শেষে তিনি। জানান, সকলে যাতে অভয়ে, নিরাপদে ভোট দিতে পারে এই কামনা করছি। ভোট সবার অধিকার।  এরপর সেখান থেকে অন্য কেন্দ্রগুলোর উদ্দেশে রওনা হয়ে যান।

সাকিব নৌকার প্রার্থী হয়েছেন মাগুরা-১ আসন থেকে। এই আসনে তার প্রতিদ্বন্দ্বী চারজন। তারা হলেন- বাংলাদেশ কংগ্রেসের অ্যাডভোকেট কাজী রেজাউল হোসেন, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের কে এম মোতাসিম বিল্লা, জাতীয় পার্টির মো. সিরাজুস সায়েফিন সাঈফ ও তৃণমূল বিএনপির সঞ্জয় কুমার রায়।

মাগুরা-১ আসনে মোট ভোটার ৪০০,৪৮৫ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ২০০,৮৬২ ও নারী ভোটারের সংখ্যা ১৯৯,৬২১। এই আসনে মোট কেন্দ্র ১৫২টি।

বাক্সে ব্যালট পেপার ফেলছেন সাকিব। ছবি: সময় সংবাদ

নির্বাচন কমিশনের দেয়া তথ্য অনুযায়ী,  দেশে এখন মোট ভোটার সংখ্যা ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৮৯ হাজার ২৮৯ জন। এবারের জাতীয় নির্বাচনে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ৬ কোটি ৭৬ লাখ ৯ হাজার ৭৪১ জন। নারী ভোটারের সংখ্যা ৫ কোটি ৮৯ লাখ ১৮ হাজার ৬৯৯ জন। হিজড়া ভোটার ৮৪৯ জন।

নির্বাচন উপলক্ষে ভোট গ্রহণের জন্য নির্ধারিত দিবসের পূর্ববর্তী মধ্যরাত অর্থাৎ ৬ জানুয়ারি রাত ১২টা থেকে ৭ জানুয়ারি রাত ১২টা পর্যন্ত ট্যাক্সি ক্যাব, পিকআপ, মাইক্রোবাস ও ট্রাক চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

এবারের নির্বাচনে ৪২ হাজার ২৫টি কেন্দ্র রয়েছে। নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি প্রার্থী রয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের। হাইকোর্ট থেকে তিনজন প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ায় দলটির প্রার্থী ২৬৬ জন। 

এছাড়া জাতীয় পার্টির ২৬৫ জন, তৃণমূল বিএনপির ১৩৫, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির ১২২, বাংলাদেশ কংগ্রেসের ৯৬, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের ৫৬ জনসহ নির্বাচন কমিশনে (ইসি) নিবন্ধিত ২৭টি রাজনৈতিক দলের প্রার্থী সংখ্যা ১ হাজার ৫৩৪। স্বতন্ত্র প্রার্থী ৪৩৬ জন। সব মিলিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১ হাজার ৯৭০ জন। এরমধ্যে ৯০ জন নারী ও ৭৯ জন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

ভোটের নিরাপত্তা রক্ষায় মাঠ পর্যায়ে পুলিশ, র্যাব, আনসার-ভিডিপি, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ডসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় ৮ লাখ  সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। ঢাকায় শুক্রবার মধ্যরাত থেকে মোটরসাইকেল এবং শনিবার মধ্যরাত থেকে আরো কিছু যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে পুলিশ।

এছাড়া ভোট গ্রহণের কাজে ৮ লাখ কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োজিত থাকবেন। এছাড়াও স্ট্যান্ডবাই থাকবেন এক লাখ কর্মকর্তা-কর্মচারী। তিন হাজার ম্যাজিস্ট্রেট ও বিচারক মাঠে থাকছেন। তারা যে কোনো অপরাধে তাৎক্ষণিক শাস্তি দিতে পারবেন। এবার ভোটে রিটার্নিং অফিসার হিসেবে ৬৬ জন দায়িত্ব পালন করছেন। এর মধ্যে দুইজন বিভাগীয় কমিশনার এবং ৬৪ জন জেলা প্রশাসক।


সর্বশেষ সংবাদ