তীব্র শীতে কাঁপছে পঞ্চগড়, তাপমাত্রা নামল ৭ ডিগ্রিতে
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৩ জানুয়ারি ২০২৪, ০৮:৩৪ AM , আপডেট: ০৩ জানুয়ারি ২০২৪, ০৮:৩৪ AM
ঘন কুয়াশা আর হিমশীতল হাওয়ায় শীত জেঁকে বসেছে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে। দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে আরও বেড়েছে শীতের তীব্রতা। তাপমাত্রা ৭ ডিগ্রিতে নেমে এসেছে। কনকনে শীতে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে দুর্ভোগে পড়েছেন অসহায় ছিন্নমূল মানুষ। খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন অনেকে।
বুধবার (৩ জানুয়ারি) সকাল ৬টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে পঞ্চগড়ের তেতুঁলিয়ায়, ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঘন কুয়াশার সঙ্গে উত্তরের হিমেল হাওয়ার কারণে ঠান্ডা বেশি অনুভূত হচ্ছে। কুয়াশার কারণে বিঘ্নিত হচ্ছে যান চলাচল। পথ চলতে যানবাহনকে ব্যবহার করতে হচ্ছে হেড লাইট।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের সিনিয়র পর্যবেক্ষক রোকনউজ্জামান জানিয়েছেন, তাপমাত্রা আরও কমতে থাকবে। অন্যদিকে অব্যাহত শীতে দরিদ্র মানুষ শীতবস্ত্রের অভাবে দুর্ভোগে পড়েছেন।
হিমালয়ের কাছাকাছি হওয়ায় প্রতি বছর পঞ্চগড়ে শীতের তীব্রতা বেশি অনুভব হয়। এবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি। কয়েকদিন আগে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায়। এরপর তাপমাত্রা ১১ থেকে ১২ ডিগ্রির মধ্যে ওঠানামা করে। কিন্তু গত তিন দিন ধরে হঠাৎ তাপমাত্রা কমতে থাকে জেলাজুড়ে। তিন দিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা করে ৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে, ঘন কুয়াশা ও কনকনে ঠান্ডার মধ্যে কুড়িগ্রামে তাপমাত্রা আরো কমেছে। বুধবার (৩ জানুয়ারি) আগের দিনের তুলনায় তাপমাত্রা ২ ডিগ্রি কমে নেমেছে ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। রয়েছে শৈত্যপ্রবাহের আভাস। এদিন সকাল ৭টায় জেলার সর্বনিম্ন এ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। তবে রাতে তাপমাত্রা আরও কমবে বলে জানিয়েছে কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিস।
আরও পড়ুন: ভোটের দিন বন্ধ থাকবে যেসব পরিবহন
যদি তাপমাত্রা কমতে কমতে নির্দিষ্ট মাত্রায় পৌঁছায় তখন শৈত্যপ্রবাহ চলছে বলে ধরে নেওয়া হয়। তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নেমে এলে তাকে শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়। তাপমাত্রা যদি আট থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয় তবে সেটাকে ধরা হয় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ।
তাপমাত্রা এর চেয়ে কমে ছয় থেকে আট ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামলে হয় মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ আর চার থেকে ছয় ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে সেটাকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ ধরা হয়। তাপমাত্রা চার ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে সেটা হয় অতি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ।