অর্থমন্ত্রীর নির্বাচনী প্রচারণায় প্রিসাইডিং অফিসার
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:২১ PM , আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:২৯ PM
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লা-১০ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন মো. আবদুল হালিম নামে এক প্রিসাইডিং অফিসার। তিনি ওই আসনের লালমাই উপজেলার অধ্যক্ষ আবুল কালাম মজুমদার মহিলা কলেজের প্রভাষক। নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেওয়ায় ওই শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি।
বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি চেয়ারম্যান, সিনিয়র সহকারী জজ রাজীব কুমার দেব শোকজ করেন।
নোটিশে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমে প্রকাশিত, সামাজিক মাধ্যম , লালমাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসারের মোবাইল ফোন মারফত তথ্য অনুযায়ী আপনি নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আ হ ম মুস্তফা কামালের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা করেছেন।
গত ২৫ ডিসেম্বর উক্ত আসনের লালমাই উপজেলার ভুলইন উত্তর ইউনিয়নের হাজতখোলা বাজারে অর্থমন্ত্রীর মেয়ে ও ছোট ভাই গোলাম সারওয়ারের সঙ্গে নৌকার পক্ষে ভোট চেয়ে গণসংযোগ করেন। প্রচারকালে আপনার হাতে নৌকার লিফলেট ছিল। আপনি প্রার্থীর কন্যাকে কয়েকজন প্রবীণ ব্যক্তির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়ে মন্তব্য করেছেন ‘ওরা আমাদের দলের লোক।’
এতে আরও বলা হয়, আপনি প্রিসাইডিং অফিসার হিসেবে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করে নৌকার পক্ষে ভোট চেয়ে গণসংযোগ করেছেন। আপনার অনুরূপ কার্যকলাপ অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনী পরিবেশের পরিপন্থী।
এতে আপনি গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ স্পষ্ট লঙ্ঘন করেছেন মর্মে প্রতীয়মান হয়। এমতাবস্থায় আপনার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কেন নির্বাচন কমিশন বরাবরে সুপারিশসহ প্রতিবেদন প্রেরণ করা হবে না সেই মর্মে আগামী ২৯ ডিসেম্বর বিকালে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি, কুমিল্লা-১০ এর অস্থায়ী কার্যালয় সহকারী জজ আদালতে (বরুড়া) কুমিল্লায় স্বয়ং হাজির হয়ে কারণ দর্শানোর জন্য আপনাকে নির্দেশ প্রদান করা হলো।
এ বিষয়ে কলেজ শিক্ষক মো. আব্দুল হালিম জানান, ‘নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির নোটিশ পেয়েছি। তবে এ বিষয়ে এখনই কোনো মন্তব্য করতে চাই না।’
লালমাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সহকারী কর্মকর্তা মৌমিতা দাস বলেন, নোটিশটি ওই শিক্ষকের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। জবাব দেওয়ার পর নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে।