বিয়ের পরদিন কেন্দ্রে এসেও প্রাথমিকের পরীক্ষা দেওয়া হলো না নববধূর
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৮:২৪ PM , আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৮:২৯ PM
চাকরির স্বপ্নে দীর্ঘ অপেক্ষার পর বৃহস্পতিবার বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন সুনামগঞ্জের তমা রানী তালুকদারের। তার বয়সও ফুরিয়ে আসছে। এমন অবস্থায় শুক্রবার ছিল তার সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার দিন। তাই বিয়ের পরদিন ভোরেই প্রাথমিকের পরীক্ষা দিতে ছুটে যান সুনামগঞ্জ শহরে।
শেষ পর্যন্ত তমার সরকারি চাকরির স্বপ্ন থমকে গেছে সুনামগঞ্জ শহরের সড়কের তীব্র যানজটে। শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) সাড়ে ৯টায় কেন্দ্রে পৌঁছানোর নির্দেশনা থাকলেও তমা পৌঁছান পৌনে ১০টায়। যে কারণে আর পরীক্ষায় বসতে পারেননি ওই নববধূ। পরে পরীক্ষা কেন্দ্রের সামনেই কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।
বিকেলে ওই কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত এইচএমপি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইনচান মিঞা জানান, ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত পরীক্ষা। সাড়ে ৯টায় উপস্থিত হওয়ার কথা পরীক্ষার্থীদের। ৯টা চল্লিশের পরেও কাউকে কাউকে ঢোকানো হয়েছে। এই মেয়েটি আরও পরে এসেছে, তখন পরীক্ষা শুরু হয়ে গেছে এবং কেন্দ্রে প্রবেশের নির্ধারিত সময়ের অনেক বেশি দেরি হয়ে গিয়েছিল। তাই ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও তমার জন্য কিছু করা সম্ভব হয়নি।
ম্যাজিস্ট্রেট ইফতিসাম প্রীতি জানান, তিনি নির্দেশনা অনুসারে দায়িত্ব পালন করেছেন। অন্য কেন্দ্রে নির্ধারিত সময়ের পরে কাউকে ঢোকানো হয়েছে কিনা সেটার সত্যতা যাচাইয়ের প্রয়োজন আছে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহন লাল দাস জানান, পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিলেন ৪ হাজার ২৯৮ জন। ডুংরিয়া কেন্দ্রের একজন পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার এবং ওই কেন্দ্রের আরেকজনকে ওএমআর প্রশ্নপত্র নিয়ে পালিয়ে যাওয়ায় তার বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের প্রথম ধাপের পরীক্ষা ছিলো আজ। শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় শুরু হওয়া এক ঘণ্টার এ পরীক্ষা (এমসিকিউ) বেলা ১১টায় শেষ হয়। প্রথম ধাপে রংপুর, সিলেট, বরিশাল বিভাগের ১৮ জেলায় একযোগে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এসব জেলায় মোট কেন্দ্র ৫৩৫টি আর পরীক্ষার কক্ষ সংখ্যা আট হাজার ১৮৬টি। পরীক্ষায় আবেদন করেছিলো সাড়ে তিন লক্ষেরও বেশি শিক্ষার্থী।