১৭ নভেম্বর ২০২৩, ১২:১১

ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’র প্রভাবে সারাদেশে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ

সারাদেশে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ  © সংগৃহীত

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি। এ কারণে সারাদেশের নদীপথে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রাখার ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। এছাড়া মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরে ৭ এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরে ৬ নম্বর সতর্কতা সংকেত জারি করা হয়েছে। একই সময় উপকূলীয় এলাকায় ৩-৫ ফুট জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কাও জানানো হয়।

শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) সকালে বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা এ ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, সমুদ্রবন্দরগুলোতে ৭ ও ৬ নম্বর বিপৎসংকেত জারির পর আমরা সারাদেশে লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দিয়েছি। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকবে।

বাংলাদেশ আবাহওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’ খুলনা ও বরিশালের মাঝখান দিয়ে উপকূল অতিক্রম করবে। ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রটি পটুয়াখালীর খেপুপাড়ার কাছ দিয়ে যাবে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় জেলাসমূহ ছাড়াও সারাদেশে বৃহস্পতিবার থেকে বৃষ্টি হচ্ছে।

আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’র প্রভাবে বরিশালে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান জানিয়েছেন, এই ঘূর্ণিঝড় দেশের ১১ জেলার ওপর দিয়ে যেতে পারে। এসব জেলা হলো- সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, খুলনা, পিরোজপুর, পটুয়াখালী, ভোলা, বরগুনা, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও চট্টগ্রাম।

ঘূণিঝড়ের প্রভাবে রাতভর কখনো গুঁড়িগুঁড়ি আবার কখনো ভারি বৃষ্টি হয়েছে। বরিশাল আবহাওয়া অফিসের তথ্য মতে গত ২৪ ঘণ্টায় ৭১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। যার ফলে বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’ বাংলাদেশের উপকূলের ২৬৫ কিলোমিটারের মধ্যে চলে আসায় মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে ৭ নম্বর এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ৬ নম্বরে বিপদ সংকেত জারি করা হয়েছে।