মির্জা ফখরুলের মুক্তির দাবি ৬৭ বিশিষ্টজনের
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৩ নভেম্বর ২০২৩, ০৪:১৯ PM , আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০২৩, ০৪:১৯ PM
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকসহ বিভিন্ন পেশার ৬৭ জন বিশিষ্ট নাগরিক।
শুক্রবার (৩ নভেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের প্রেস উইং কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার।
বিবৃতিতে তারা বলেন, রাজনীতিতে সংঘাত পরিহার করে গণতান্ত্রিক রীতিনীতির চর্চা ফিরিয়ে আনতে মির্জা ফখরুলের মুক্তি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। আমরা আশা করি, অবিলম্বে তাকে মুক্তি দিয়ে সরকার একটি শান্তিপূর্ণ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পথ সুগম করবেন।
বিবৃতিদাতারা বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাসী বলে আমাদের কাছে প্রতীয়মান। রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা যাতে শান্তিপূর্ণ পথে পরিচালিত হয়, তার জন্য মির্জা ফখরুলের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ ও সর্বজনবিদিত। রাজনীতিতে সংঘাত পরিহার করে গণতান্ত্রিক রীতিনীতির চর্চা ফিরিয়ে আনতে মির্জা ফখরুলের মুক্তি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে আমরা মনে করি।
তারা আরও বলেন, একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য জাতি আজ উন্মুখ। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নিজেও এ বিষয়ে তার অঙ্গীকারের কথা বলেছেন। আগামী তিন মাসের মধ্যে একটি নিরপেক্ষ সরকারের তত্ত্বাবধানে জাতীয় নির্বাচনের অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে সেটি করার দাবি জোরাল হচ্ছে।
বিবৃতিদাতাদের মধ্যে আছেন বদরুদ্দীন উমর, সালেহউদ্দীন আহমেদ, আনু মুহাম্মদ, আনোয়ারউল্লাহ চৌধুরী, মাহবুব উল্লাহ, আহমেদ কামাল, সাইদুর রহমান, এ টি এম নুরুল আমিন, সদরুল আমীন, আকমল হোসেন, আ ফ ম ইউসুফ হায়দার, তাজমেরি ইসলাম, নাসের বখতিয়ার, সিরাজুল ইসলাম, সি আর আববার, এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম প্রমুখ।
গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশের দিন দলটির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এতে এক পুলিশ সদস্য নিহত হয়। আহত হন অর্ধশতাধিক পুলিশসহ বিএনপির অনেক নেতাকর্মীও। সেদিনই দিবাগত রাতে ফখরুলকে গুলশানের বাসা থেকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।