করোনায় বেশি শিখন ঘাটতিতে ৫-১৬ বছরের শিশুরা
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১১ অক্টোবর ২০২৩, ১১:৫২ AM , আপডেট: ১১ অক্টোবর ২০২৩, ১২:১৮ PM
মহামারি করোনাভাইরাসের প্রভাবে দেশে সবয়েচে বেশি শিখন ঘাটতে রয়েছে ৫-১৬ বছরের শিশুরা। সম্প্রতি নাগরিক উদ্যোগে খুলনা ও রাজশাহীর শিক্ষার্থীদের পঠন ও শিখন যাচাই এবং মূল্যায়ন প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ওয়েভ ফাউন্ডেশন এই মূল্যায়ন করে। এসব শিশুর শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিতে ১০ দফা সুপারিশ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) রাজধানীর একটি রেস্টুরেন্টে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ তথ্য প্রকাশ করা হয়। অনুষ্ঠানে মূল্যায়নের বিস্তারিত তুলে ধরেন যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংস্থা স্ট্রিট চাইল্ডের কর্মসূচি ব্যবস্থাপক ইমতিয়াজ হৃদয়।
এসময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এই প্রকল্পের কর্মসূচি ব্যবস্থাপক লিপি আমেনা। মতবিনিময় সভায় ওয়েভ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক মহসিন আলী, সুশাসন অধিকার ও ন্যায্যতা কর্মসূচির উপ-পরিচালক কানিজ ফাতেমা উপস্থিত ছিলেন।
মহসিন আলী বলেন, আমাদের যার যার দৃষ্টিভঙ্গি আলাদা। তবে কিছু বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে সম্মিলিতভাবে নিজ নিজ অবস্থান থেকে ভূমিকা রাখতে হবে। জনগণের কাছে সামাজিক ইস্যুগুলো তুলে ধরতে গণমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের সবচেয়ে বেশি শিখন ঘাটতি গণিতে
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বেসরকারি নাগরিক সমাজের সংগঠন ওয়েভ ফাউন্ডেশন বহুমুখী কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় উন্নয়ন সহযোগী স্ট্রিট চাইল্ডের আর্থিক সহযোগিতায়, ২০২১ সাল থেকে 'দ্য সাউথ এশিয়ান অ্যাসেসমেন্ট অ্যালায়েন্স: কমিউনিকেটিং অ্যান্ড কোলাবোরেটিং ফর চেঞ্জ' প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। ইতিমধ্যে খুলনা এবং রাজশাহীতে নাগরিক কর্তৃক পরিচালিত মূল্যায়ন' নামক একটি জরিপ পরিচালনা করা হয়েছে।
লিপি আমেনা শিশুদের শিক্ষার গুণগতমান উন্নয়নে জরিপের ১০ দফা সুপারিশ তুলে ধরেন। এগুলো হলো- শিক্ষা খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি এবং বরাদ্দকৃত অর্থের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করা, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সমতাভিত্তিক গুণগত শিক্ষা নিশ্চিত করা, শিক্ষকদের ক্লাসে নিয়মিত মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করা, শিক্ষার গুণগত মান অর্জনে শ্রেণির পাঠদান শ্রেণিতেই সম্পন্ন করা।
এছাড়া অবকাঠামোগত উন্নয়ন পর্যাপ্ত শ্রেণিকক্ষ ও স্যানিটেশন এর ব্যবস্থা করা, শিক্ষার মান উন্নয়নে শিক্ষকদের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা, শিক্ষার্থী অনুপাতে শিক্ষক সংখ্যা বাড়ানোর জন্য উদ্যোগ গ্রহণ, পাঠ্যপুস্তকসহ অন্যান্য শিক্ষা উপকরণ তৈরি ও বিতরণ করা, স্কুল ফিডিং কার্যক্রম প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিশেষ করে দুর্যোগপ্রবণ এলাকাতে চালু করা এবং গুণগত শিক্ষার মান উন্নয়নে নীতি নির্ধারক, শিক্ষক ও অভিভাবকসহ সকল অংশীজনের মতামতের আলোকে কর্ম পরিকল্পনা গ্রহণ করা।