বন্ধ হয়ে গেল ফুড ভিলেজ, থামবে না আর কোনো গাড়ি
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৪:১১ AM , আপডেট: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৪:১১ AM
সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল গোলচত্বর এলাকায় অবস্থিত হোটেল ফুড ভিলেজ প্লাসের সব কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেছে মালিকপক্ষ। যারফলে এ স্থানে আর কোনো গাড়ি থামবে না। এই হোটেলটিতে উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের রাজধানীর যোগাযোগের পথে যাওয়া আসায় দূরপাল্লার প্রায় সবকটি জেলার বাসই যাত্রাবিরতি দিত। ২০১৩ সালের ২৬ মার্চ ফুড ভিলেজ প্লাস আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেছিলেন এস আর গ্রুপের চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ।
সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) ইন্টারচেঞ্জ প্রকল্পের কারণে হোটেলটি স্থায়ীভাবে বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।
জানা যায়, ঢাকা-রংপুর চার লেনের কাজের পাশাপাশি হাটিকুমরুল গোলচত্বর এলাকায় নির্মাণ হবে ইন্টারচেঞ্জ। আর এই ইন্টারচেঞ্জ প্রকল্পের কারণেই বন্ধ হয়ে গেল এই হোটেলটি। হোটেলটি বন্ধ হওয়ায় সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়বেন ঢাকা-পাবনা-কুষ্টিয়া রুটে চলাচলকারী যাত্রীরা।
হোটেল ফুড ভিলেজ প্লাস সূত্রে জানা যায়, এসআর গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠান হলো হোটেল ফুড ভিলেজ প্লাস। ২০১৩ সালের ২৬ মার্চ প্রতিষ্ঠানটি উদ্বোধন করেন এসআর গ্রুপের চেয়ারম্যান সাবেক সংসদ সদস্য জি.এম সিরাজ। সেদিন থেকে পথচলা শুরু করে ১০ বছর পর আজ বন্ধ হয়ে গেল হোটেলটি।
ফুড ভিলেজ প্লাসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) সাগর আহম্মেদ জানান, ফুড ভিলেজ প্লাসের সব কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ২০১৩ সালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) কাছ থেকে লিজ নিয়ে রেস্তোরাঁটি করা হয়েছিল। কিন্তু সম্প্রতি হাটিকুমরুল গোলচত্বর এলাকায় ৪ লেনের মহাসড়কের পাশাপাশি তৈরি হচ্ছে আন্তর্জাতিক মানের ইন্টারচেঞ্জ।
আরও পড়ুন: সরকারি প্রতিষ্ঠানে ভাতাসহ ইন্টার্ন করার সুযোগ
এটির মাধ্যমে গোলচত্বরের এক কিলোমিটার আগেই ভাগ হয়ে যাবে উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের ২৭টি জেলার যানবাহন। এ কারণে মূলত প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে একই মহাসড়কের নলকা এলাকায় রেস্তোরাঁটি চালু করার চিন্তা রয়েছে।
উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের সব জেলার গাড়িগুলো যাত্রাবিরতির জন্য যাত্রীরা এই হোটেলে নামতেন। তাদের বেশিরভাগই হোটেলের সামনের দোকানগুলো থেকে পান, সিগারেট, চিপস, পানীয় কেনাকাটা করতেন। এই লাখো মানুষের কাছে ছোট্ট ছোট্ট পণ্য বেচেই চলতো আমাদের জীবিকা। হোটেলটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় হোটেলের বিভিন্ন পদে কাজ করা প্রায় ৬০০ শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়বেন বলে জানিয়েছেন সেখানে কর্মরত শ্রমিকরা।