কীভাবে নির্বাচিত হয় দেশসেরা শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও প্রতিষ্ঠান?
দেশসেরা চার শিক্ষার্থী ও শ্রেণিশিক্ষকসহ সেরা প্রতিষ্ঠান প্রধান ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। সারা দেশে কয়েক ধাপের প্রতিযোগিতার মাধ্যমে তাদের নির্বাচিত করা হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ-২০২৩ উপলক্ষে এসব বিভাগে শিক্ষার্থীদের নির্বাচিত করে।
আজ সোমবার (১৯ জুন) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এক অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে। এর আগে গত ৫ ও ৬ জুন বিভিন্ন পর্যায়ের বিজয়ীদের নির্বাচিত করা হয়। মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ, কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও মাদ্রাসায় কয়েক ধাপের প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শ্রেষ্ঠদের বাছাই করা হয়েছে।
এ সংক্রান্ত নীতিমালায় দেখা গেছে, প্রতিটি বিভাগে সেরা নির্বাচনের জন্য ১০০ নম্বরের মানদণ্ডে বিভিন্ন বিষয়ের মূল্যায় করা হয়। উপজেলা, জেলা, বিভাগ ও জাতীয় পর্যায়ে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে এ মূল্যায়ন করা হয়। শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থী নির্বাচনে পরীক্ষার ফলাফল, উপস্থিতি, সংগীত, খেলাধুলা, ছবি আকাঁ, লেখায় দক্ষতা, নেতৃত্বদানে দক্ষতা, সামাজিক কর্মকাণ্ডসহ নানান বিষয়ে মূল্যায়ন করা হয়েছে।
আরো পড়ুন: জানা গেল দেশসেরা শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নাম, ঢাকার কেউ নেই
শ্রেষ্ঠ শিক্ষক নির্বাচনে শিক্ষাগত যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা, প্রশ্নপত্র তৈরিতে দক্ষতা, সগযোগিতার প্রবণতা, পাঠদানের দক্ষতা, গবেষণা ও সৃজনশীল প্রকাশনার মতো নানান বিষয়ে মূল্যায়ন করা হয়। সেরা প্রতিষ্ঠান প্রধানদের ক্ষেত্রেও এগুলোর পাশাপাশি প্রশাসনিক দক্ষতা, অভিজ্ঞতা, আর্থিক শৃঙ্খলার মতো অনেক বিষয়ে মূল্যায়ন করেন সংশ্লিষ্টরা।
সেরা প্রতিষ্ঠান নির্বাচনে ফলাফল, পাস করা ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা, মোট শিক্ষার্থী, শিক্ষকদের যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা, অবকাঠামো, আর্থিক শৃঙ্খলা, খেলাধুলা, সহপাঠ, আইসিটি শিক্ষা, পরিবেশের মতো নানা বিষয় মূল্যায়ন করা হয়। বিভিন্ন পর্যায়ে গঠিত কমিটির সদস্যরা এ বিষয়ে মূল্যায়ন করেন নম্বর দেন। জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় দেশসেরাদের নির্বাচিত করা হয়।
এ সংক্রান্ত পূর্ণাঙ্গ নীতিমালা দেখতে এখানে ক্লিক করুন।