ফাঁসি দেওয়ার আগে কেমন লাগত ২৬ মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা সেই জল্লাদের

জল্লাদ শাহজাহান ভূঁইয়া
জল্লাদ শাহজাহান ভূঁইয়া  © সংগৃহীত

প্রায় ৩২ বছর কারাভোগের পর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন ৭৩ বছর বয়সি ফাঁসির আসামি জল্লাদ শাহজাহান ভূঁইয়া।

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মোহাম্মদ মাহাবুবুল ইসলাম জল্লাদ শাহজাহানের মুক্তির বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, মুক্তি পাওয়ার আগে ২৬ ফাঁসি কার্যকর করেছেন জল্লাদ শাহজাহান ভূঁইয়া। এর মধ্যে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছয় খুনি, চার যুদ্ধাপরাধী, কুখ্যাত বাংলা ভাইসহ দুই জেএমবি সদস্য, কুখ্যাত সন্ত্রাসী এরশাদ শিকদারও রয়েছেন।

এদিকে মুক্তির পর গণমাধ্যমের সাথে কথা বলেছেন জল্লাদ শাহজাহান। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছেন, ‘প্রতিটি ফাঁসির আগেই আবেগ কাজ করেছে। এখানে তো আমার কিছু করার নেই। এ কাজ (ফাঁসি) কাউকে না কাউকে তো করতে হতো। এখন আমি চলে আসছি, অন্য কেউ করবে। সাজাপ্রাপ্ত আসামি হিসেবে আমাকে এ কাজ করতে হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামি হিসেবে কারা কর্তৃপক্ষ আমাকে জল্লাদের কাজ দিয়েছিল। আমি সাহসী ছিলাম বলেই এ কাজ পেয়েছিলাম। কাজটি আমি না করলে কেউ না কেউ করতেন। এখন আমি চলে এসেছি, এ কাজ অন্যরা করবেন।’

শাহজাহান বলেন, ফাঁসির মঞ্চে যাওয়ার আগে এরশাদ শিকদার দাবি করেছিলেন যে তিনি কোনো অন্যায় করেননি; আর মুনীর একটি সিগারেট চেয়েছিলেন।

 ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মাহবুবুল ইসলামের তথ্যানুযায়ী, ৪২ বছরের সাজার মধ্যে প্রতি ফাঁসির জন্য দুই মাস কারা রেয়াত পেয়েছেন শাহজাহান। 

কারাবিধি অনুযায়ী, আচার-আচরণ এবং অন্যান্য কারণে সব মিলিয়ে ১০ বছর ৫ মাস রেয়াত পেয়েছেন। সাজা খেটেছেন ৩১ বছর ৬ মাস ২ দিন।

শাহজাহানের হাতে কোনো টাকাপয়সা না থাকায় যে ১০ হাজার টাকা তাঁর দণ্ড হয়েছিল, তা কারা কর্তৃপক্ষ মিটিয়ে দিয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ