সাংবাদিক হত্যা: হেলিকপ্টারে ঢাকায় আনা হচ্ছে চেয়ারম্যান বাবুকে

মাহমুদুল আলম বাবু
মাহমুদুল আলম বাবু  © ফাইল ফটো

সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিম হত্যায় বকশীগঞ্জ সদর উপজেলার সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। তাকে র‍্যাবের হেলিকপ্টারে করে পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ থেকে ঢাকায় আনা হচ্ছে।

র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন শনিবার দুপুরে গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‍্যাবের মিডিয়া সেন্টার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ নিয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।

র‍্যাব জানায়, হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী মাহমুদুল আলম বাবুকে দেবীগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। ঢাকায় আনার পরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে আবারও তাকে জামালপুরে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখান থেকে বাবুকে বকশীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হবে।

এর আগে পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার চিলাহাটি ইউনিয়ন থেকে চেয়ারম্যান বাবুকে আটক করে র‍্যাব। এরপর তার স্ত্রী মনিরা বেগম বাদী হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুলকে প্রধান আসামি করে ২২ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ২৫ জনকে আসামি করে বকশীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন।

জানা যায়, বকশীগঞ্জ উপজেলার সাধুরপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবুর নারী কেলেঙ্কারিসহ নানা অপকর্ম নিয়ে একের পর এক সংবাদ প্রকাশ করেছিলেন বাংলানিউজ ও একাত্তর টিভির সাংবাদিক নাদিম। সংবাদ প্রকাশের জেরে ময়মনসিংহ সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালে নাদিমের বিরুদ্ধে মামলাও করেন বাবু। আদালত ওই মামলাটি খারিজ করে দেন। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বুধবার (১৪ জুন) রাতে বাবুর বাহিনী নৃশংস হামলা চালায় তাঁর ওপর। চেয়ারম্যান বাবু ও তাঁর ছেলে ফাহিম ফয়সাল রিফাত হামলার নেতৃত্ব দেন। বৃহস্পতিবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তিন সন্তানের জনক চল্লিশোর্ধ্ব নাদিমের।

পরে শুক্রবার শোক আর শ্রদ্ধায় সাংবাদিক নাদিমকে চিরবিদায় জানানো হয়। সকাল ১০টায় বকশীগঞ্জ নূর মোহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে প্রথম জানাজা ও দুপুর ১২টায় নিলক্ষিয়া ঈদগাঁ মাঠে দ্বিতীয় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তার দাদা-দাদির কবরের পাশে সমাহিত করা হয়।  


সর্বশেষ সংবাদ