দেশে ফিরতে বাধা নেই বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিনের, পেয়েছেন ট্রাভেল পাস
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৩ জুন ২০২৩, ০৬:৪৮ PM , আপডেট: ১৩ জুন ২০২৩, ০৬:৪৮ PM
বাংলাদেশ সরকারের ট্রাভেল পাস সংগ্রহ করেছেন ভারতে অবস্থানরত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। সোমবার (১২ জুন) দিবাগত রাত ১১টার দিকে তিনি ট্রাভেল পাস হাতে পেয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৩ জুন) দুপুরে সালাহউদ্দিন আহমেদ নিজেই এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। পাসপোর্ট না থাকায় সালাহউদ্দিন আহমেদ পরে দেশে ফিরতে ট্রাভেল পারমিটের জন্য গোহাটিতে বাংলাদেশের সহকারী হাই কমিশনে আবেদন করেন।
২০১৫ সাল থেকে ভারতের শিলংয়ে রয়েছেন সাবেক যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী সালাহউদ্দিন আহমেদ। অনুপ্রবেশের দায়ে তার বিরুদ্ধে করা মামলায় খালাস পাওয়ার প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে—তিনি যেকোনো সময় দেশে ফিরতে পারবেন।
সালাহউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, সোমবার রাতে তিনি ট্রাভেল পাস হাতে পেয়েছেন। এটি ৮ জুন ইস্যু করা হয়েছে। এখন ভারতে কিছু আইনি প্রক্রিয়া রয়েছে যা সম্পন্ন করবেন তিনি। একই সঙ্গে শারীরিক পরীক্ষা করাবেন।
৫ বছর তিনি শিলংয়ের বাইরে যেতে পারেননি; এ কারণে চিকিৎসার ফলোআপ করাতে পারেননি। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় কোথাও যেতে পারেননি। এর আগে ২০১৬ ও ২০১৭ সালে সেখানে তার কিডনি ও ঘাড়ের দুটি অপারেশন হয়। তারও আগে বাংলাদেশে তার হার্টে তিনটি রিং বাসানো হয়। এর বাইরে ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন রোগে তিনি আক্রান্ত। সবকিছুর ফলোআপ করাতে চান— জানান কক্সবাজার-১ আসনের সাবেক এই সংসদ সদস্য।
এর আগে ২০১৫ সালের ১০ মার্চ রাজধানীর উত্তরা থেকে নিখোঁজ হন সালাহউদ্দিন আহমেদ। নিখোঁজের ৬৩ দিন পর ১১ মে ভারতের মেঘালয়ের শিলংয়ে স্থানীয় পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। বৈধ কাগজপত্র ছাড়া ভারতে প্রবেশের অভিযোগে ফরেনার্স অ্যাক্ট অনুযায়ী গ্রেপ্তার দেখায় মেঘালয় থানা পুলিশ।
একই বছরের ২২ জুলাই ভারতের নিম্ন আদালতে আনুষ্ঠানিকভাবে তার বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশের দায়ে অভিযোগ গঠন করা হয়। কিন্তু ওই মামলায় তিনি বেকসুর খালাস পাওয়ার পর সরকার পক্ষ আপিল করে। চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি এ মামলায় তিনি শিলং জজ কোর্ট থেকে খালাস পান। এ কারণে তার দেশে আসায় কোনো বাধা নেই।
প্রসঙ্গত, সালাউদ্দিন আহমদ ১৯৯১ সালে বিএনপির তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার এপিএস ছিলেন। ২০০১ সালে কক্সবাজার থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন সালাহউদ্দিন। তাকে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়ে যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী করা হয়েছিল। মেঘালয়ে যখন আটক হন তখন তিনি বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ছিলেন। ভারতের জেলে থাকাকালে তাকে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য করে বিএনপি।