শিক্ষককে জুতাপেটা করা সেই আওয়ামী লীগ নেত্রী গ্রেপ্তার
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৮ জুন ২০২৩, ০৭:০৭ AM , আপডেট: ০৮ জুন ২০২৩, ০৭:০৭ AM
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলাম খানকে মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেত্রী সামসাদ রানু ওরফে রাঙা ভাবিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বুধবার (৭ জুন) রাত আটটার দিকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমরা নাথ।
সামসাদ রানু আলমডাঙ্গা পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর। পরবর্তীতে মেয়র পদে নির্বাচন করে তিনি জামানত হারান।
জানা গেছে, স্কুলে দেরি করে আসায় ক্ষুব্ধ আওয়ামী লীগ নেত্রী প্রথমে চড় থাপ্পড় ও পরে পায়ের স্যান্ডেল খুলে পেটান প্রধান শিক্ষককে। সামসাদ রানুর ছেলে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে। ছেলের কাজে তিনি সকাল সাড়ে ৯টার দিকে স্কুলে ঢুকে দেখতে পান প্রধান শিক্ষক উপস্থিত হননি। এরপর প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলাম খান স্কুলে ঢোকেন ৯টা ৫০ মিনিটে। এতে ক্ষুব্ধ রাঙা ভাবি প্রধান শিক্ষককে ধাক্কাতে ধাক্কাতে অফিস কক্ষের ভেতরে নিয়ে যান। প্রধান শিক্ষক চেয়ারে বসলে দু’জনের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এ সময় উত্তেজিত আওয়ামী লীগ নেত্রী (রাঙা ভাবি) প্রথমে প্রধান শিক্ষকের মুখে একের পর এক চড় মারতে থাকেন এবং একপর্যায়ে পায়ের স্যান্ডেল খুলে মারতে থাকেন। এরপরই তিনি স্কুল ছেড়ে চলে যান এবং তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ করে রাখেন।
প্রত্যক্ষদর্শী সহকারী প্রধান শিক্ষক ইলিয়াছ হোসেন বলেন, আমি অফিসের ভেতরেই ছিলাম। কিছু বুঝে ওঠার আগেই স্যারকে মারধর শুরু করা হয়।
অভিযুক্ত রাঙা ভাবি অকপটে স্বীকার করে বলেন, দেরি করে স্কুলে আসার কারণ জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক আমার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন। এজন্য তাকে ধাক্কা দিয়েছি মাত্র। চেয়ার তুলে মারতে গেলে একজন শিক্ষক ঠেকিয়ে দেন তাকে।
প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলাম খান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, যা ঘটেছে তা অত্যন্ত অপমানকর। আমি হতবিহ্বল হয়ে পড়েছি। সন্ধ্যার পর থানায় মামলা দায়ের করেছি।
বিদ্যালয়ের সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার রনি আলম নুর বলেন, সামসাদ রানু নামের মহিলা প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে যেটা করেছেন তা ফৌজদারি অপরাধ এবং নিন্দনীয়। এ ব্যাপারে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।
থানার অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব কুমার নাথ বলেন, প্রধান শিক্ষক মামলা দায়েরের পরপরই অভিযুক্ত সামসাদ রানুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।