এবারের বাজেট গরিববান্ধব: অর্থমন্ত্রী

২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটেও দরিদ্র জনগণের কথা ভাবা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল
২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটেও দরিদ্র জনগণের কথা ভাবা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল  © ফাইল ছবি

২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটেও দরিদ্র জনগণের কথা ভাবা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেন, এবারের বাজেট হবে গরিববান্ধব। বিশেষ কোনো চাপ থাকবে না। অর্থনৈতিক উন্নয়ন ধরে রাখতে বাজেটে ধারাবাহিকতা থাকছে। সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর বলয় এবার বিপুল আকারে বাড়ছে।

আজ বৃহস্পতিবার বাজেট পেশ করতে সংসদে যাওয়ার আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গুলশানের বাসভবনের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। 

অর্থমন্ত্রী বলেন, এ বাজেট দিয়ে এবারও সরকার সফল হবে। এ দেশের মানুষকে ঠকাবে না সরকার। কাউকে গরিব করে কিছু অর্জন করতে চায় না সরকার। 

এর আগে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত সাত লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার বাজেট মন্ত্রীসভা অনুমোদন দিয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (১ জুন) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদ ভবনের মন্ত্রীসভা কক্ষে দুপুরে অনুষ্ঠিত বিশেষ বৈঠকে মন্ত্রীসভা নতুন অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদন দেওয়া হয়।

আরো পড়ুন: শিক্ষায় বরাদ্দ বাড়ল সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকা

জাতীয় সংসদে সরকারের বর্তমান মেয়াদের শেষ বাজেট উপস্থাপন করবেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এটি দেশের ৫২তম এবং আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের ২৩তম বাজেট। আকারের দিক থেকে এটিই হবে দেশের বৃহত্তম বাজেট।

‘স্মার্ট বাংলাদেশের অভিমুখে’ এই প্রতিপাদ্যে বাজেট বক্তব্যে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, জাতীয় নির্বাচনের বছরে অর্থনৈতিক কার্যক্রম চাঙ্গা করতে সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রমের বিশাল বর্ণনা তুলে ধরবেন অর্থমন্ত্রী।
আগামী অর্থবছরে তিন হাজার ৯০০ কোটি টাকা অনুদানসহ আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে পাঁচ লাখ তিন হাজার ৯০০ কোটি টাকা, যা চলতি অর্থবছরের চেয়ে প্রায় সাড়ে ১৩ শতাংশ বেশি। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) আয় করতে হবে চার লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা।

রাজস্ব বোর্ড বহির্ভূত কর থেকে আসবে ২০ হাজার কোটি টাকা ও কর ছাড়া আয় ধরা হয়েছে ৫০ হাজার কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে রাজস্ব আয়ের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত হয়েছে চার লাখ ৩৬ হাজার ২৬৩ কোটি টাকা। বাজেটে স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর মতো খাতে বরাদ্দের বড় কোনো পরিবর্তন হবে না।


সর্বশেষ সংবাদ